• কলকাতার নাট্যমেলায় রাজবংশী রংপাচালি গেয়ে প্রশংসিত ইসলামপুরের লোকশিল্পীরা 
    বর্তমান | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ইসলামপুর: কলকাতার মঞ্চে সমাদৃত উত্তরবঙ্গের রাজবংশী ভাষার ‘রংপাচালি’ পালাগান। তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের নাট্য আকাদেমির উদ্যোগে কলকাতার রবীন্দ্রসদনে ৫-১৩ ফেব্রয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে চতুর্বিংশ নাট্যমেলা। বাম আমলে নাট্য আকাদেমি ছিল কলকাতাকেন্দ্রীক। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার লোকনাট্য স্থান পাচ্ছে মঞ্চে। ইসলামপুরের জগতাগাঁও এলাকার মাকালী পাচালি গোষ্ঠী এবার ডাক পেয়েছিল নাট্যমেলায়। গোষ্ঠীর সকলেই লোকপ্রসার প্রকল্পের অধীনে থাকা লোকশিল্পী। জীবনে প্রথমবার কলকাতার মঞ্চে অনুষ্ঠান করে খুবই আনন্দিত শিল্পীরা। প্রশংসিত হয়ে তারা উত্সাহিতও।


    মাকালী পাচালি গোষ্ঠীর দলপতি যতীন সিংহ বলেন,আমাদের দলে ২০ জন লোকশিল্পী আছেন। আমরা ১৬ জনকে নিয়ে কলকাতায় গিয়েছিলাম। এর মধ্যে ৬ জন মহিলা। নাট্যমেলায় আমরা রং পাচালি পালাগান করেছি। তিন ধরনের পাচালি গান হয়। এর মধ্যে রং পাচালি অন্যতম। হাসি, কান্না,আনন্দ সহ পঞ্চরস মিলে আছে রং পাচালিতে। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সম্প্রদায়ের মধ্যে এই পালাগানের প্রচলন বহু পুরাতন। তবে বর্তমানে যুব সমাজে তেমন আগ্রহ নেই। কলকাতায় আমাদের পালাগান সবার ভাল লেগেছে। সরকারি আধিকারিক থেকে দর্শকরা প্রশংসা করেছে। মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক শুভদীপ দাস বলেন, শিল্পীদের যাতায়াতের সমস্ত খরচ সরকার বহন করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকনাট্য দলগুলি অংশ নিয়েছিল। প্রতিবছরই নাট্যআকাদেমির উদ্যোগে নাট্যমেলা হয়। পাচালি, রং পাচালি, ক্ষণ সহ বিভিন্ন লোকনাট্য মঞ্চস্থ হয়। লোকশিল্পীরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে লুপ্তপ্রায় লোক সংস্কৃতি পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে রাজবংশী ভাষার পালাগান স্থান পাচ্ছে কলকাতায়। এর ফলে সমাজ ও শিল্পী সন্মানিত হচ্ছেন। শিল্পের প্রচার ও প্রসার হচ্ছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)