• হাসপাতালে ধোঁয়ায় আগুন আতঙ্ক
    বর্তমান | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর ও পুরাতন মালদহ: হাসপাতালে হঠাৎ আগুন আতঙ্ক। বিষাক্ত সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে গেল ওয়ার্ড। আতঙ্কে ছুটে পালাতে শুরু করলেন রোগীরা। আতঙ্ক ছড়াল চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যেও। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। ধোঁয়ার কারণে রোগী থেকে শুরু করে চিকিৎসক প্রত্যেকেরই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা শুরু হয়। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের পাশে আবর্জনার স্তূপের আগুন থেকেই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালের জানালা ও দরজা দিয়ে ওয়ার্ডের মধ্যে ধোঁয়া ঢুকে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তুলসীহাটা থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 


    হাসপাতালের পাশেই জমে ছিল আবর্জনার স্তূপ। এদিন সাফাই কর্মীরা ওই স্তূপে আগুন ধরিয়ে দেন। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আবর্জনা। কয়েক‌ মিনিটের মধ্যেই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালে। এর জেরে আতঙ্কে প্রসূতি থেকে শুরু করে অন্যান্য রোগীরা ওয়ার্ডের বাইরে বেরিয়ে যেতে শুরু করেন। চিকিৎসক ও নার্সরাও রোগীদের সুরক্ষিত ভাবে বাইরে বের করার কাজে যোগ দেন। ধোঁয়ার কারণে অনেকেই শ্বাসকষ্টের কারণে সাময়িক ভাবে অসুস্থ বোধ করেন। হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ছোটন মণ্ডল আবর্জনার স্তূপে সাফাই কর্মীদের আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হাসপাতালের বাইরে আবর্জনা ফেলার জায়গা রয়েছে। মাঝেমধ্যে সেখান থেকে আবর্জনা তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় কিছু আবর্জনা ছড়িয়ে থাকে। কেউ বিড়ি বা সিগারেট খেয়ে ফেলে দিয়েছিল।‌ সেখান থেকে আগুন ধরে যায়। এরপর ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। তবে কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। 


    অন্যদিকে, পুরাতন মালদহ শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতিপাড়া এলাকায় সীমানা ঘেরা জায়গায় আবর্জনার স্তূপে আগুন ধরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রথমে স্থানীয়রা আগুনে নেভানোর চেষ্টা করেন। এরপর ইংলিশবাজার থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকলের ফায়ার অপারেটর প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ওই এলাকায় ইলেকট্রিক তার এমনভাবে রয়েছে যে আমাদের গাড়ি ঢোকার সময় আটকে গিয়েছিল।  ধোঁয়ায় ভরেছে হাসপাতাল। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)