• মেখলিগঞ্জ পুরসভায় পঞ্চানন বর্মার ছবি সরানো নিয়ে বিতর্কের অবসান
    বর্তমান | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মেখলিগঞ্জ: মেখলিগঞ্জ পুরসভায় চেয়ারম্যান পরিবর্তনের পর পুরসভা কক্ষ থেকে মনীষী পঞ্চানন বর্মার ছবি সরানো নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল প্রাক্তন চেয়ারম্যান কেশবচন্দ্র বর্মনের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে। সোশ্যাল মিডিয়াতেই সেই পোস্টের জবাবও দেন বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাত পাটনি। এনিয়ে শুরু হয় দুই শিবিরের বাকযুদ্ধও। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার মেখলিগঞ্জ পুরসভায় হাজির হন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের একদল প্রতিনিধি। দীর্ঘক্ষণ তাঁরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে দেখা করেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারীর সঙ্গে। 


    অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রবি রায় বীর বলেন, মেখলিগঞ্জ পুরসভার কক্ষ থেকে মনীষী পঞ্চানন বর্মার ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে আমরা সামাজিক মাধ্যমে জানতে পারি। বিষয়টি জানতেই এদিন আমাদের পুরসভায় আসা। তবে এসে দেখতে পাই পঞ্চানন বর্মার ছবি লাগানো হয়েছে। আগের ছবিতে মনীষীর নামটা ছিল না। এছাড়াও ছবিটি পুরনো হয়ে যাওয়াতে সেটিকে সংস্কার করে নতুনভাবেই লাগানো হয়েছে বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। 


    পুরসভার চেয়ারম্যান প্রভাত পাটনি বলেন, মনীষী পঞ্চানন বর্মার ছবি সরানো হয়েছে কিংবা অসম্মান করা হয়েছে বলে গত কয়েকদিন থেকেই এই সংক্রান্ত একটা বিষয়ে বিতর্ক ছড়াচ্ছে। এই বিষয় নিয়েই গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। নতুনভাবে মনীষীর ছবি টাঙানো দেখে তাঁরা খুশি হন। গোটা বিষয়টি নিয়েই তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাই এনিয়ে আর কোনও বিতর্কই নেই বলে আমি মনে করি। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রথমে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, পুরসভার চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে অন্যান্য মনীষীদের সঙ্গে রায় সাহেব ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার প্রতিকৃতিও দেওয়ালে টাঙানো ছিল। কিন্তু সেটি সরানো হয়। যা অবমাননাকর। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। এদিন কেশবচন্দ্র দাস বলেন, যা হয়েছে তাতে মনীষীকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। সেটাই আমি বলেছিলাম। 
  • Link to this news (বর্তমান)