• একটি পরীক্ষারই খাতা দেখার দাবি শিক্ষকদের
    বর্তমান | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনার দাবি তুলছেন শিক্ষকরা। গত বছর দু’টি বড় পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং তা জমা দেওয়ার সময় একেবারে কাছাকাছি সময়ে পড়ে গিয়েছিল। ফলে, যাঁদের দু’টি বিষয়ের খাতাই দেখতে হয়েছে, তাঁদের ভুলভ্রান্তির পরিমাণও বাড়ে। তা প্রতিফলিত হয় রিভিউ-স্ক্রুটিনির ফলে। সেখানে প্রচুর সংখ্যক পড়ুয়ার ফল পরিবর্তন হয়েছিল। এই পরিস্থিতি এড়াতে বেশি সংখ্যক শিক্ষককে পরীক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া এবং যে কোনও একটি পরীক্ষায় নিযুক্ত রাখার দাবি উঠছে। গণিতের শিক্ষক তথা শিক্ষক সংগঠন এসটিইএর নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, পরীক্ষক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনও ভারসাম্য দেখতে পাচ্ছি না। একটি স্কুলে হয়তো সমস্ত শিক্ষকই খাতা দেখার দায়িত্ব পেয়েছেন। আবার পাশের স্কুলের কোনও শিক্ষকই দায়িত্ব পাননি। ঘটনা হল, উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্ব পেলে সেই শিক্ষকদের দৈনন্দিন ক্লাস কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়। সেই ক্ষতি ছাত্রছাত্রীদের। এক বছর নয়, হয়তো কয়েক বছর ধরেই একই চিত্র। আবার, একই শিক্ষক মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখতে বাধ্য হচ্ছেন। কারও আবার সিনিয়রিটি থাকা সত্ত্বেও সেই দায় নিতে হচ্ছে না। পর্ষদ এবং সংসদ সেই বিষয়টি দেখুক।


    প্রসঙ্গত, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের তালিকা পাঠান প্রধান শিক্ষকরা। সেই তালিকা থেকে পরীক্ষক নিয়োগ করে থাকে পর্ষদ এবং সংসদ। তবে, অনিমেষবাবুর বক্তব্য, পরীক্ষকদের কোডটি ইউনিক। তা থেকে বোঝা সম্ভব, ওই শিক্ষক মাধ্যমিকে পরীক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন কি না। সেটা দেখে দায়িত্ব বিভাজন সম্ভব। প্রসঙ্গত, এবার সংসদ পরীক্ষক, প্রধান পরীক্ষকদের নিয়োগ করছে অনলাইন পদ্ধতিতে। এক্ষেত্রে স্কুলের ইমেলেই পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিয়োগপত্র। যদিও, এই পদ্ধতিতেও ওভারল্যাপিংয়ের সমস্যা যে মিটে যাবে তা নয়। একটিই ইতিবাচক দিক হল, এবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের মধ্যে যথেষ্ট সময়ের ফারাক রয়েছে। তাই গতবছরের মতো হুড়োহুড়ি বাধবে না।
  • Link to this news (বর্তমান)