নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: খাতা-বই, ব্ল্যাকবোর্ড ছেড়ে মাঠে হাজির ওরা! খেলাধুলো করতে নয়, বরং নতুন কিছু শিখতে। জল-কাদায় নেমে তারা ধানের চারা রোপণ করল। কিছুক্ষণের মধ্যে সরগড় হয়ে যেতেই কচিকাঁচারা যেন এক-একজন অভিজ্ঞ কৃষক! বাসন্তীর জয়গোপালপুর আদিবাসী এফপি স্কুলের খুদে পড়ুয়ারা প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় এভাবেই ধান রোয়া শিখে নিল। মঙ্গলবার সকালে স্কুলের পাশেই চাষের জমিতে এই কাজ করতে দেখা গেল পড়ুয়াদের। মাঠে নেমে চাষ করে খুদে পড়ুয়ারা যারপরনাই আনন্দিত। কিন্তু হঠাৎ কেন এরকম ভাবনা? স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ মহাকুড় বলেন, ‘গরম পড়লেই সুন্দরবনে জলের সঙ্কট দেখা দেয়। ওই অবস্থায় চাষবাসও কঠিন হয়ে ওঠে। তাই কীভাবে কম জলে চাষ করা যাবে, সেই পদ্ধতি শেখানো হল হাতেকলমে। ওরা বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের বলবে। আমাদের আশা, অভিভাবকরা অনেকেই উৎসাহিত হবেন এবং কম জল ব্যবহার করে চাষে উৎসাহী হবেন।’ কথায় কথায় তিনি জানালেন, সাধারণত বেশ কয়েকটি ধানের চারাকে একটি গোছা করে রোপণ করা হয়। এতে বাড়তি অনেকটা জল লাগে। কিন্তু নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে একটি করে চারা যদি রোপণ করা যায়, তাহলে তুলনামূলকভাবে অনেক কম জল প্রয়োজন হবে। এটা অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলেই দাবি প্রধান শিক্ষকের। আগামী দিনে সুন্দরবনে এভাবে চাষ করা গেলে জল সঙ্কটের মোকাবিলা অনেকটাই সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।-নিজস্ব চিত্র