গ্রাহকের আর্থিক প্রতারণা রুখতে শুধু টেলিকম সংস্থাকেই নিয়ন্ত্রণ কেন, প্রশ্ন
বর্তমান | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ফোন কল বা মেসেজের মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহক যাতে প্রতারিত না হন, তার জন্য নিয়ম আরও জোরালো করছে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রাই)। গ্রাহকের ফোনে যে লিঙ্কগুলি ভেসে ওঠে, সেগুলি যাতে মোবাইল সংস্থাগুলির অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকেই আসে, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে তারা। পাশাপাশি গ্রাহকদের কাছে টেলি মার্কেটিং বা ব্যবসায়িক স্বার্থযুক্ত যে ফোনকল ও মেসেজগুলি আসে, সেগুলিও মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলির অনুমোদিত কি না, তাও যাচাই করে দেখার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ অনুমোদিত সংস্থাগুলি থেকেই যাতে টেলি মার্কেটিং কল আসে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ট্রাইয়ের এই নির্দেশিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল মোবাইল সংস্থাগুলির সংগঠন সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (কোয়াই)। ‘স্প্যাম’ নিয়ে তাদের বক্তব্য, অসাধু ফোনকল বা মেসেজের কারণে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ছেন। অন্যদিকে বৈধ কল বা মেসেজেও ব্যবসায়িক সুবিধা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট টেলি মার্কেটিং সংস্থারই। মোট কথা, উভয় ক্ষেত্রেই তারা লাভবান হচ্ছে। এখানে টেলিকম সংস্থাগুলির কোনও ভূমিকা নেই। তারা শুধু মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। কিন্তু ট্রাইয়ের নির্দেশিকায় মোটা অঙ্কের পেনাল্টি বা জরিমানা বহন করতে হবে শুধু টেলিকম সংস্থাগুলিকেই।
কোয়াইয়ের বক্তব্য, ট্রাইয়ের নির্দেশিকার পর টেলিকম সংস্থাগুলি স্প্যাম কল ও মেসেজ রোধে যথেষ্ট পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু বৈধ ব্যবসায়িক কল এবং অবৈধ লোকঠকানো কলে রাশ টানা যায়নি, বরং তা বেড়ে গিয়েছে। তার কারণ, মোবাইল সংস্থাগুলি পদক্ষেপ করার পর, তা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে ছড়িয়ে পড়ছে। তাতে মানুষ আরও আর্থিক বিপদে পড়ছেন। কোয়াই কর্তাদের বক্তব্য, সমস্যার মোকাবিলা যদি করতেই হয়, তাহলে শুধু টেলিকম সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ বা জরিমানা করলেই হবে না।
অ্যাপের মাধ্যমে যেভাবে সঙ্কট বাড়ছে, তাকেও নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। নিয়ন্ত্রণ করা উচিত টেলিমার্কেটিং সংস্থাগুলিকেও। প্রসঙ্গত, এর আগেও তারা দাবি করেছিল, ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে যে অ্যাপগুলিতে ভয়েস কল বা মেসেজ পাঠানোর সুবিধা
চালু আছে, সেগুলিকেও সরকার বিধির মধ্যে আনুক। কারণ, মোবাইল সংস্থাগুলি যে ভয়েস বা মেসেজ পরিষেবা দেয়, অ্যাপগুলিও একই ধরনের পরিষেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু তাদের পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করার কোনও পরিকাঠামো বা নিয়ম এদেশে নেই। এই ব্যাপারে কোয়াইয়ের ইঙ্গিত ছিল হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, গুগল মিটের মতো অ্যাপগুলিকে নিয়ে।