মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় সরকারের ‘অসতর্কতা’ দায়ী নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা জানান, ওষুধের গুণমান বজায় রাখার জন্য রাজ্য সরকারের কড়া প্রোটোকল রয়েছে। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও চক্রান্ত না করলে খারাপ মানের ওষুধ সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করা অসম্ভব।
উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসে মেদিনীপুর মেডিক্যালে অস্ত্রোপচারের পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল, নিম্নমানের ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইন দেওয়ার কারণেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় এক প্রসূতি ও এক সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই স্বাস্থ্য দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পরে তদন্তের পর জানা যায়, এই ঘটনায় চিকিৎসকদের গাফিলতি ছিল। অস্ত্রোপচারের সময় সিনিয়র চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন না। জুনিয়র চিকিৎসকরাই ওই প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার করেন। এর জেরে ১৩ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। এই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিন বিধানসভায় মমতা জানান, কোনও ওষুধ হাসপাতালে পাঠানোর আগে দু’টি ল্যাবরেটরি থেকে গুণমান পরীক্ষা করা হয়। হাসপাতালে সরবরাহের পরেও তা ব্যবহারের আগে ‘র্যান্ডম স্যাম্পল’ পুনরায় দু’টি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। দু’টি জায়গা থেকেই যথাযথ শংসাপত্র পেলে তবেই তা হাসপাতালে ব্যবহার করা হয়। স্যালাইন কেনার পর রাজ্য সরকার কী কী সাবধানতা অবলম্বন করে তা এ দিন ব্যাখ্যা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, মেদিনীপুর মেডিক্যালে ব্যবহৃত রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনের ক্ষেত্রেও সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করেছিল করা হয়েছিল।