প্রদ্যুত দাস: রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধীরে ধীরে প্রাণ হারাচ্ছে জঙ্গল। পাহাড়ের কোলে অবস্থিত গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের অধীনে থাকা মৌচুকি পর্যটন কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হচ্ছে না এই পর্যটন কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা। এর ফলে পর্যটকরা খুব বেশি আসতেও চাইছেন না এখানে।
অথচ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই পর্যটন কেন্দ্র যে কোনও মানুষের মন মুগ্ধ করার মতো। জলপাইগুড়ি জেলার চালসা, মেটেলি ও সামসিং হয়ে যেতে হয় সুনতালিখোলা। সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার এবড়ো খেবড়ো রাস্তায় পৌঁছাতে হয় মৌচুকি কটেজে। পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে বনদপ্তরের ঝা চকচকে কটেজ। সম্পূর্ণ সোলার সিস্টেমের মধ্যে এই কটেজ। এখানে থাকার আনন্দ একেবারেই অন্যরকম। জঙ্গল ও পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই এলাকায় বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর কটেজ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে পর্যটকদের মন কেড়ে নেওয়ার মত খুবই সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ। এই কটেজগুলো পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে জলপাইগুড়ি গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ। সরকারি এই কটেজে খুব কম খরচে রাত্রি যাপন করতে পারেন পর্যটকেরা। থাকা ও খাওয়ার সুবন্দোবস্ত রয়েছে এখানে।
এই এলাকার রাস্তা সংস্কার হলে অনেক বেশি পর্যটক আসতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় গাড়ি চালক শিশির ভুজেল বলেন, এখানে একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও এসেছিলেন। কিন্তু বেহাল রাস্তার জন্য এখন পর্যটকরা খুব বেশি আসতে চাইছেন না।
এই বিষয়ে গরুমারা ওয়াইল্ডলাইফ ডিভিশনের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন বলেন এখানে বর্তমানে পরিবেশবান্ধব কটেজ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে রাস্তাটা চলাচলের যোগ্য করা যায়।