• হাড়হিম কলকাতা! নিজেদের 'শেষ' চেয়ে ২ ভাই-স্ত্রী-সন্তান, এক পরিবারের ৬ জন-ই...
    ২৪ ঘন্টা | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • বিক্রম দাস ও অয়ন ঘোষাল: খাস কলকাতায় বিরল ঘটনা! অজ্ঞাত কারণে নিজেদের শেষ করে দিতে চাইছে গোটা পরিবারের সবাই! উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুর্ঘটনা থেকে 'আত্মহত্যা'! একই পরিবারের ২ ভাই, তাঁদের স্ত্রী ও তাঁদের ২ নাবালক সন্তানের মধ্যে ৩ জন ইতিমধ্যেই মৃত। উদ্ধার হয়েছে তাঁদের দেহ। বাকি ৩ জন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

    জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে গাড়ি নিয়ে বের হন প্রসূন দে ও প্রণয় দে। তাঁদের সঙ্গেই গাড়িতে ছিল এক নাবালক। ৩ জন গতকাল রাতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এক পিলারে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার জেরে ৩ জন-ই গুরুতর জখম হন। ৩ জনকেই উদ্ধার করে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপতালে ভর্তি করা হয়। আত্মহত্যার উদ্দেশ্যেই ইচ্ছাকৃতভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটানো হয় বলে মনে করছে পুলিস।

    এখন দুর্ঘটনার তদন্তে নামলে আতহদের ঠিকানার সূত্র ধরে ট্যাংরার বাড়িতে পৌঁছয় পুলিস। সেখানে পৌঁছে ২ মহিলা ও এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিস। যাঁরা সম্পর্কে ওই ২ ভাইয়ের স্ত্রী ও তাঁদের একজনের মেয়ে। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, গোটা পরিবারের সবাই কোনও এক কারণে বিভিন্ন উপায়ে নিজেদের শেষ করে দিতে চেয়েছে। যে কারণেই  কলকাতার বুকে এরকম ঘটনা বেশ বিরল।

    প্রাথমিকভাবে পুলিস মনে করছে, অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের কারণেই সম্ভবত ট্যাংরার পরিবারটির এই পরিণতি। পুলিস কমিশনার জানিয়েছেন, ২ মহিলা ও নাবালিকার মৃত্যু আগে ঘটে। তারপর গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনাটি ঘটে। ওই ২ মহিলা ও নাবালিকার হাতের শিরা কাটা অবস্থায় ছিল বলে সূত্রের খবর। 

    আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ... 

    iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১

    কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)