হঠাৎ বিদ্যুৎহীন কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের মূল ভবনের পাশে সেন্টেনারি ও সেসকুই সেন্টেনারি ভবনে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে আচমকাই অন্ধকার নেমে আসে। ওই সময়ে স্বাভাবিক ভাবেই কোর্টে ব্যস্ততা ছিল। আচমকা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বিচারে কাজ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়।
আইনজীবীদের একাংশ এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান। কোর্টে বিভিন্ন মামলার শুনানি কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। মাঝপথে আটকে যায় বেশ কয়েকটি লিফট। বেশ কয়েকজন আটকেও পড়েন। তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানোর জন্য বিদ্যুৎ কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। মিনিট সাতেকের চেষ্টার পরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। সচল হয় লিফট। বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরার পরে শুরু হয় আদালতের কাজকর্মও।
কিন্তু ঠিক কী কারণে কলকাতা হাইকোর্টে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এর কারণ খোঁজার জন্য পূর্ত দপ্তরের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আইনজীবীরা বলছেন, ‘কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাসে লোডশেডিংয়ের ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন।’ লিফটে আটকে যাওয়া এক আইনজীবী বলেন, ‘আমার সঙ্গে অনেকেই লিফটে আটকে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বয়স্ক মামলাকারীও আটকে যান। প্রত্যেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন অতীতে কখনও হতে হয়নি।’