• পিপিপি মডেলে ট্রাম চালানো নিয়ে বৈঠকে কথার নির্দেশ
    এই সময় | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: কলকাতার ট্রাম নিয়ে আগের দেওয়া রায় থেকে সাময়িক সরলো হাইকোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ শহর থেকে ট্রাম তুলে দেওয়ার বিরোধিতায় দায়ের করা মামলায় জানায়, কলকাতার কোনও ট্রাম লাইনের উপরে ফেলা বিটুমিন তোলার কাজ আপাতত স্থগিত রাখতে হবে।

    কারণ হাইকোর্ট বৃহত্তর পরিসরে বিষয়টি দেখছে। এই শহরের ঐতিহ্য হিসেবে ট্রাম যাতে আগের মতো চলে, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আলিপুর–সহ বিভিন্ন জায়গায় কারা ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলতে লাইনের উপরে বিটুমিন ফেলেছে, সেই ব্যাপারে কলকাতা পুলিশ অনুসন্ধান করছে। তাদের থেকে এই ব্যাপারে রিপোর্ট চায় হাইকোর্ট।

    কলকাতায় ট্রাম চালু রাখতে পদক্ষেপের জন্য হাইকোর্টের গড়ে দেওয়া কমিটি আজ, বুধবার বিকেলে বৈঠকে বসছে। প্রধান বিচারপতির এ দিন ফের নির্দেশ, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই কোর্ট পিপিপি মডেলে ট্রাম চালু রাখতে কী করা যায়, তা দেখার নির্দেশ দিয়েছিল। কমিটির বৈঠকে সেই নিয়ে বিস্তারিত ও আন্তরিক আলোচনা করতে হবে। আগামী শুনানিতে এই নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে কমিটিকে। প্রধান বিচারপতি শহরে আধুনিক ট্রাম চালু রাখার পক্ষে এ দিনও সওয়াল করে বলেন, ট্রামগুলোর যা অবস্থা, তাতে তিন কোটি টাকার বেশি লাগবে না। আন্তর্জাতিক মানের করতে, নাগরিককে সুরক্ষা দিতে এটুকু টাকার প্রয়োজন। পিপিপি মডেলকেই পথ বলেও তিনি যুক্তি দেন।

    তাঁর কথায়, ‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ডাকুন, তারা চাইলে উন্নত ও আধুনিক ট্রাম পরিষেবা চালু রাখা সম্ভব হবে।’ রাজ্যের আইনজীবী তালে মাসুদ সিদ্দিকি জানান, আপাতত ময়দান থেকে খিদিরপুর ও বালিগঞ্জ থেকে পার্ক সার্কাস হয়ে ধর্মতলা রুটে ট্রাম চলছে। আদালতে রাজ্যের দেওয়া রিপোর্টে জানানো হয়, আলিপুর এলাকায় ট্রাম লাইন বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছিল। সেখানে প্রায় দেড় দশক ট্রাম চলাচল বন্ধ ছিল। তবে কারা এটা করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ খতিয়ে দেখছে। মামলাকারীর আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ীর অভিযোগ, রাজ্যই চায় না শহরের হেরিটেজ ট্রাম থাকুক।

  • Link to this news (এই সময়)