এই সময়: প্রাথমিকে নিয়োগ–দুর্নীতির মামলায় এ বার কুন্তল ঘোষের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই। মঙ্গলবার বিচার ভবনে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তদন্তকারী অফিসারের উপস্থিতিতে নিজের ভয়েস স্যাম্পল দেন কুন্তল। আদালত ছাড়ার সময়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এবং রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশকর্তা ভারতী ঘোষকে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের প্রাক্তন এই যুবনেতা। সাংবাদিকদের উদ্দেশে কুন্তল বলেন, ‘নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। বিরোধী দলনেতার ভাই বলে কি কিছু করা হবে না? দিব্যেন্দু অধিকারী এবং ভারতী ঘোষকেও ডাকা উচিত। তাঁদের ভূমিকার বিষয়ে সিবিআই আরও ভালো বলতে পারবে।’
গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে আদালতে হাজিরার সময়ে বার বার বিভিন্ন ব্যক্তির নাম নিয়েছেন কুন্তল। পরবর্তীতে তাঁদের মধ্যে কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ অথবা গ্রেপ্তারও করেছে ইডি এবং সিবিআই। এ বার ভয়েস স্যাম্পল দেওয়ার পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে কুন্তল দুই বিজেপি নেতার নাম নিলেন। নিয়োগ–দুর্নীতি মামলায় এর আগে কখনও দিব্যেন্দু বা ভারতীকে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা তলব বা জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। কুন্তলের এ দিনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘কে,কী বলল, তা নিয়ে আমি কেন কথা বলতে যাব? এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’ বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন পুলিশকর্তা ভারতী ঘোষের জবাব, ‘ও কেন এমন বলছে, ও বলতে পারবে। শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে আমার কোথাও নাম নেই। কোনও বিজেপি নেতাও জড়িত নন। কেন হঠাৎ এ ভাবে নাম বলতে গেল কুন্তলই বলতে পারবে।’
কিছু দিন আগেই সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে আদালতে নিজের কণ্ঠস্বরের নমুনা দেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। এ বার কুন্তলও ভয়েস স্যাম্পল দিলেন। এই একই মামলায় ইডি–র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দু’জন। কুন্তলকে ইডি গ্রেপ্তার করে ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি। প্রায় দু’বছর জেলে থাকার পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন কুন্তল। তা ছাড়া কণ্ঠস্বরের নমুনা দিয়েছেন সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও।