মিল্টন সেন,হুগলি: থানা ভিত্তিক বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের সুফল মিলল হাতেনাতে। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের জালে ধরা পড়ল কুখ্যাত 'ব্যাটারি গ্যাং'। উদ্ধার হলো বিপুল পরিমাণ চুরি যাওয়া ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ব্যাটারি এবং সরঞ্জাম। দুই জেলার ৯ থানায় ছিল ১৩ টি অভিযোগ। ব্যাটারি গ্যাংয়ের তাণ্ডবে ঘুম ছুটেছিল পুলিশের। ব্যাটারী চোর ধরতে থানায় থানায় গঠন করা হয় বিশেষ তদন্তকারী দলের। অবশেষে সাফল্য আসে।
বুধবার গুড়াপ থানায় এক সাংবাদিক বৈঠক করে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ডিএন্ডটি প্রিয়ব্রত বক্সী জানিয়েছেন, গত বেশ কিছুদিন ধরে হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানের কয়েকটি থানা এলাকায় মোবাইল ফোনের টাওয়ারের ব্যাটারী চুরির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। ক্রমাগত ঘটতে থাকা চুরি নিয়ে যথেষ্টই উদ্বিগ্ন ছিল পুলিশ। তার পরেই হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নির্দেশে ব্যাটারী গ্যাং ধরতে বিশেষ দল গঠন করা হয়।সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শুরু হয় চোর খোঁজার কাজ।
প্রিয়ব্রত বক্সী বলেছেন, গুরাপ থানায় তিনটি, দাদপুর থানায় দুটি, পোলবা, ধনেখালি, পান্ডুয়া, বলাগড়, হরিপাল এবং পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর, মেমারী থানায় একটি করে অভিযোগ দায়ের হয়। প্রথমে তদন্তকারীরা সিসিটিভি খতিয়ে দেখে। বোঝার চেষ্টা করে কিভাবে চুরি হয়েছে। কোন রাস্তা দিয়ে গেছে, তা দেখে চোর শনাক্ত করার চেষ্টা করে। ওই এলাকায় কোন মোবাইল বেজেছিল তার তথ্য নেওয়া হয় স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ থেকে। কয়েকদিন আগে গুরাপ থানার ওসি বাপি হালদারের নেতৃত্বে একটি গাড়ি ও তাঁর ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই ড্রাইভারের সূত্র ধরে প্রচুর ব্যাটারী যন্ত্রাংশ উদ্ধার হয়।
মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে দুজন টেকনিশিয়ান জড়িত। যারা বেসরকারি সংস্থার টাওয়ার গুলির কাজ করতো। যে পরিমাণ ব্যাটারি চুরি হয়েছিল তার বাজার মূল্য ১৫ লক্ষ টাকারও বেশি। গুরাপ থানা অধিকাংশই প্রায় উদ্ধার করতে পেরেছে। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে তদন্তকারী পুলিশ। ধৃত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি তারকেশ্বরে। এক জনের বাড়ি ঝাড়গ্রাম একজনের বাড়ি পান্ডুয়া। পুলিশি তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্তরা তারকেশ্বর থেকে গোটা বিষয়টাকে অপারেট করত।