রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ব্যবহৃত হবে রবীন্দ্রনাথের লেখা গানের নির্দিষ্ট স্তবক
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটির কোন স্তবকটি গাওয়া হবে তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। কত সময়ের মধ্যে রাজ্য সঙ্গীত গাওয়া সম্পন্ন করতে হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সঙ্গীত চলাকালীন বাধ্যতামূলকভাবে উঠে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, উঠে দাঁড়ালে ভালো।
রাজ্য সরকার ২০২৩ সালে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করিয়ে দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রথমত, পয়লা বৈশাখকে ‘রাজ্য দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে এবং দ্বিতীয়ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি পশ্চিমবঙ্গের ‘রাজ্য সঙ্গীত’ হিসেবে গাওয়া হবে। সেই বছরের ডিসেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে যে গান বাজানো হয়েছিল তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা মূল গানটির কথার সঙ্গে সেই গানের কথার ফারাক ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গানের কথা অনুযায়ী, ‘বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন…।’ কিন্তু নেতাজি ইন্ডোরে সে দিন বাজানো হয়েছিল, ‘বাংলার প্রাণ বাংলার মন, বাংলার ঘরে যত ভাই বোন…।’ কবিগুরুর গানের কথা এভাবে পরিবর্তন করা যায় কি না তা নিয়ে সেই সময় প্রশ্ন উঠেছিল। সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন অনেকে।
এবার সেই বিতর্কের নিরসন করল রাজ্য সরকার। সোমবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে গাওয়া হবে, ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল— পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান।। বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন— এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান’। শুধুমাত্র এই স্তবকটিকেই রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে গাওয়া যাবে। পাশাপাশি রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার জন্য এক মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।