প্রদ্যুত দাস: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে। মৃত ছাত্রের নাম অভিজিৎ রায়। বুধবার সকালে জলপাইগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতের পরিবারে।
ডুয়ার্সের ময়নাগুড়ি ব্লকের চ্যাংমারি হরেন্দ্রনাথ হাই স্কুলের ছাত্র ছিল অভিজিৎ। ময়নাগুড়ির আমগুড়ি রামমোহন হাইস্কুলে ছিল তাঁর পরীক্ষার সেন্টার। গত কয়েকদিন ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছিল সে। পেটে ব্যথা নিয়েই ময়নাগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি পরীক্ষা দিয়েছিল। পরবর্তীতে তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাঁকে জলপাইগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আজ সেখানেই মৃত্যু ঘটে অভিজিতের। মৃত ছাত্রের বাবা সদারু রায় কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। ছেলের অকালমৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তিনি। ঘটনার খবর পেয়ে জলপাইগুড়িতে চলে আসেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শোকাহত পরিবারের পাশে রয়েছেন তারা।
জানা গিয়েছে, মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষাটি অভিজিত্ সেন্টারে গিয়েই দেয়। কিন্তু তারপরই তাঁর পেটের ব্যথা শুরু হয়। ময়নাগুড়ি হাসপাতালে সে দ্বিতীয় পরীক্ষা দেয়। কিন্তু অবস্থার অবনতির ফলে অভিজিত্ আর কোনও পরীক্ষা দিতে পারেনি।
বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক রজত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল অভিজিতকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু শত চেষ্টা সত্ত্বেও রক্ষা করা যায়নি। চিকিত্সক আরও জানিয়েছেন, খাদ্যনালী ফুটো হয়ে গিয়েছিল অভিজিতের। সেখান থেকে পিত্তরস জমতে জমতে পেটে সেপসিস হয়ে যায়। যার ফলে তাঁর মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, অন্যদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরও বনদফতরের তরফ থেকে গাড়ি সহ মোবাইল এসকর্ট করে বনদফতরের কর্মীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া এবং আসার ক্ষেত্রে সমস্ত রকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা ডিএফও -এর। মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও জঙ্গল এলাকার পরীক্ষার্থীদের এসকর্ট করে পৌঁছে দেবে বন দফতর।