শ্রীকান্ত ঠাকুর: উন্নয়নের টাকা বরাদ্দ নিয়ে তুঙ্গে তরজা বালুরঘাটে। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর বিরুদ্ধে তাঁর এলাকার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকার শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুলেছেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র। পাল্টা বিধায়ক তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করেছেন, তাঁর সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডের জন্যই এখনও পর্যন্ত ৫৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন এবং আরও তিন চার লক্ষ টাকার কাজ রাজনৈতিক কারণে আটকে রেখেছে পুরসভা। আরও অভিযোগ, রাজনীতির ফাঁসে আটকে যায় উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকা। রামকৃষ্ণ আশ্রমের ওয়াটার পিউরিফায়ার বসানোর প্রকল্প এবং জেলা প্রেস ক্লাবের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য টাকা বরাদ্দ করলেও তা এখনও কাজের অনুমতি দেয়নি পুরসভা।
বালুরঘাট শহরের ২৫ ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য উন্নয়নের কাজ এবং দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর কাজে নিযুক্ত রয়েছে পুরসভা। মাঝে মাঝেই বড় অনুষ্ঠান করে পুর পরিষেবাকে উন্নত করতে এবং নতুন প্রকল্প সূচনা করা হয়। বিগত ছয় মাসে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার এবং তা শুধুমাত্র পুর এলাকায় উন্নয়নের জন্য। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্রের দাবি, বিজেপি বিধায়ক কাছে ভোট পেলেও পুরসভা উন্নয়নের জন্য কিছুই বরাদ্দ করেননি। এমনকি অশোক মিত্রের দাবি, বিধায়ককে এলাকাতে দেখাই যায় না, উন্নয়নের কাজে তাঁর কোন ভূমিকা নেই, তিনি পারলে বরং শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন কোথায় কত টাকা খরচ করেছেন তার হিসাব দিয়ে।
অন্যদিকে বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর দাবি, সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন পুরসভার চেয়ারম্যান। রাজনৈতিক কারণেই এই ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। নিজের এলাকার উন্নয়নের জন্য বছরে ৭ কোটি টাকা পান বিধায়করা। তা দিয়ে বিধানসভা এলাকার উন্নয়নের কাজ করতে হয়। যা অত্যন্ত কম পরিমাণ টাকা। পুর এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব পুর প্রতিনিধি ও চেয়ারম্যানের। অশোক মিত্রের উচিত সেই দিকে নজর দেওয়া, কারণ বালুরঘাটে সাধারণ মানুষ কাঁদছে , তবুও কম টাকার মধ্যেই ৫৭ লক্ষ টাকারও বেশি বরাদ্দ করেছেন তিনি এবং পরিসংখ্যান দিয়ে বিধায়কের দাবি, এখনও পর্যন্ত পুর এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নের কাজে ২৯ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা খরচ করা হয়ে গিয়েছে ২৩ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার বিভিন্ন প্রকল্প এখনও চলছে। এবং ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার কাজের প্রস্তাব দেওয়া থাকলেও রাজনৈতিক কারণে তা এখনও অনুমোদন পায়নি।
উন্নয়নের খাতে বিধায়কের বরাদ্দ নেই বলে যে দাবি বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান করেছিলেন তা কার্যতো নস্যাৎ করে দিয়ে বিধায়ক। তাঁর পাল্টা দাবি করেছেন পুরো বিধানসভায় এলাকায় উন্নয়নের কথা পুরো সবার চেয়ারম্যান কে চিন্তা করতে হবে না তিনি শুধু পৌরসভাতেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করুন।