• চাঁপদানির স্কুলে দুই পড়ুয়ার মারামারি, সহপাঠীর ঘুসিতে প্রাণ গেল দশম শ্রেণির ছাত্রের
    প্রতিদিন | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: স্কুলের মধ্যে দশম শ্রেণির দুই পড়ুয়ার মধ্যে মারামারি। সহপাঠীর ঘুসিতে প্রাণ গেল ছাত্রের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চাঁপদানিতে। ঘটনা জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্কুলের সামনে প্রবল বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক-সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    জানা গিয়েছে, চাঁপদানির আর্য বিদ্যাপীঠ স্কুলের দশম শ্রেণিতেই পড়ে দুই ছাত্র। সহপাঠীর সঙ্গে স্কুলেরই তিনতলার শৌচালয়ে মারামারি হয়। অভিযুক্ত সহপাঠী সজোরে ঘুসি মারে। মারের চোটে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্র। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    জানা গিয়েছে, আজ বুধবার স্কুলে ক্লাস চলছিল। বেলা একটা নাগাদ দশম শ্রেণির ওই দুই ছাত্রের মারামারি শুরু হয়।  আঘাতে ওই ছাত্র লুটিয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি স্কুলের শিক্ষকরা আঙ্গাস ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। জামদানি পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে ওই স্কুল। এলাকার কাউন্সিলরের স্বামী বিক্রম গুপ্তা বলেন, “স্কুলের মধ্যে মারামারিতে একটি ছেলে অজ্ঞান হয়ে যায়। জানতে পেরে টোটো করে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু বাঁচাতে পারিনি।”

    স্কুলের ভিতর ছাত্রদের মধ্যে এভাবে মারামারি হয় কীভাবে? শিক্ষকদের পড়ুয়াদের উপর নজরদারি নেই কেন? স্কুলের অন্যান্য কর্মীরাই বা কী করছিলেন? সেই প্রশ্ন উঠেছে। মৃত ছাত্রের বাবা বলেন, “শিক্ষকদের সামনে কী করে ছাত্ররা মারামারি করে? স্কুলে কোনও পড়াশোনা হয় না। আমার ছেলের মৃত্যু জন্য যে দায়ী, তার শাস্তি চাই।” মৃতদেহে দেখে অঝোরে কাঁদেন মা। এদিন স্কুলের বাইরে ঘটনার পর থেকে তীব্র বিক্ষোভ চলে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, তাঁর অনুপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য তিনি অন্য স্কুলে গিয়েছিলেন। ওই ঘটনা জানার পরেই হাসপাতালে পৌঁছন। বিষয়টি তিনিও খতিয়ে দেখছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)