• ট্যাংরার ঘটনার পুনর্নির্মাণ, রহস্য সমাধানে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ
    প্রতিদিন | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অর্ণব আইচ: একই পরিবারের তিনজন মৃ্ত এবং তিনজন পথ দুর্ঘটনায় আহত। ট্যাংরা কাণ্ড নিয়ে হাজারও প্রশ্নের জট। রহস্যের বুনন খুলতে আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। আগামী দিনে ঘটনার পুনর্নির্মাণ হবে বলেই জানান তিনি।

    পুলিশ কমিশনার জানান, “দে পরিবারের তিন সদস্য জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরা একটু সুস্থ হলেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে। আপাতত আহতদের পাওয়া বয়ান যাচাই করা হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পরিবারের সকলের মোবাইল সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ট্যাংরার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা প্রণয় এবং প্রসূন দে। সম্পর্কে দুই ভাই। চামড়ার ব্যবসা করতেন তাঁরা। তাঁদের স্ত্রী রোমি এবং সুদেষ্ণা দে। বুধবার সকালে তাঁদের চারতলা বাড়ির আলাদা আলাদা তিনটি ঘর থেকে রোমি, সুদেষ্ণা এবং দে পরিবারের নাবালিকা কন্যাসন্তানের দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধারের সময় রোমি, সুদেষ্ণার হাতের শিরা কাটা ছিল। গলাতেও ছিল আঘাতের চিহ্ন। নাবালিকার মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরতে দেখা গিয়েছে। তার ঠোঁট এবং নাকের নিচেও ছিল আঘাতের চিহ্ন।

    আবার ইএম বাইপাসে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে আবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে প্রণয়, প্রসূন এবং দে পরিবারের পুত্রসন্তানকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। প্রণয়-প্রসূনের দাবি, ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। ঠিক কী কারণে এমন চরম পদক্ষেপ নেওয়া হল, কেনই বা তাঁরা পায়েস খাওয়ার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন, তা নিয়ে রয়েছে হাজারও প্রশ্নের জট। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর্থিক কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা ? সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)