ট্যাংরায় সন্তান ও স্ত্রীদের খুন করে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে ২ ভাই! জেরায় দাবি, ‘আত্মহত্যার চেষ্টা করছিলাম’
প্রতিদিন | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
অর্ণব আইচ: ট্যাংরা কাণ্ডে (Tangra Incident) প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মৃত দুই মহিলার স্বামীরা মঙ্গলের রাতে বেরিয়েছিলেন গাড়ি নিয়ে। গড়ফার কাছে দুর্ঘটনায় জখম হন ২ জন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই নাকি জানা যায়, বাড়িতে আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁদের স্ত্রী। ওই যুবক দাবি করেন, তাঁরাও আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন। সত্যিই কী তাই? সেক্ষেত্রে কারণ কী? নাকি দুইভাই পরিকল্পনা করে স্ত্রী ও সন্তানকে খুনের পর গা ঢাকা দিতেই বাড়ি ছেড়েছিলেন যুবকেরা? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে দুইভাইকে।
বুধবার সকালে প্রকাশ্যে আসে ট্যাংরার হাড়হিম কাণ্ড। ঘর থেকে উদ্ধার হয় ২ মহিলার হাতের শিরাকাটা রক্তাক্ত দেহ। পাশেই মৃত অবস্থায় পড়েছিল এক নাবালিকা। জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। ওইদিন গড়ফা থানা এলাকায় মেট্রোর পিলারে ধাক্কা দেয় সেই গাড়ি। ২ ভাই জখম হন, নাম প্রসূন ও প্রণয় দে। রাতেই তাঁদের রুবির কাছে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কীভাবে দুর্ঘটনা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তাতেই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই দুই যুবক জানান, তাঁরা সপরিবারে নাকি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
পুলিশের দাবি, ওই যুবকরা জানিয়েছেন, তাঁদের দুজনের স্ত্রীরা বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যু হয়েছে পরিবারের নাবালিকা সন্তানেরও। তারপরই আত্মহত্যা করতেই নাকি বাড়ি ছেড়েছিলেন দুই ভাই। কিন্তু কপালজোড়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা। এই দাবিতেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে পুলিশের মনে। তদন্তকারীদের অনুমান, আত্মহত্যা নয়, সন্তান ও স্ত্রীদের খুন করেছে অভিযুক্তরা। তারপর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে দুই ভাই পালানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পুলিশের জালে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এদিকে ইতিমধ্য়েই ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনজনের দেহ। সত্যি কি আত্মহত্যা? নাকি খুন? ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এদিকে সুখী পরিবারের এই পরিণতিতে হতবাক প্রতিবেশীরা।