ট্যাংরায় ৩ দেহ উদ্ধার, চাহিদা কমে যাওয়ায় কাজ ছিল না মৃতদের কারখানার শ্রমিকদের
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ট্যাংরায় একই পরিবারের ৩ সদস্যের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতদের পারিবারিক কারখানার শ্রমিকদের বস্তব্যে পাওয়া গেল সূত্র। জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই মন্দা চলছিল দে পরিবারের কারবারে। তবে পুজোর পর থেকে তা চরম আকার নেয়। যার ফলে কাজ পাচ্ছিলেন না বহু শ্রমিক।
ট্যাংরায় নিহতদের পরিবারের রয়েছে চামড়ার দস্তানার কারখানা। ট্যাংরার ২১ নম্বর শীল লেনের সেই কারখানায় এক সময় দম ফেলার সময় পেতেন না শ্রমিকরা। তেমনই এক শ্রমিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দে পরিবারের চামড়ার দস্তানার ব্যবসা অনেক পুরনো। বর্তমান মালিকদের বাবার সময় থেকে চলছে এই কারবার। তবে ব্যবসা গত কয়েক বছর ধরে ব্যাবসা ভালো যাচ্ছিল না প্রসূন ও প্রণয়ের। বিশেষ করে করোনার পর থেকে চাহিদা কমতে থাকে। পুজোর পর থেকে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। চাহিদা এতটাই কমে যায় যে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়। যার ফলে অনেক শ্রমিক নিয়মিত কাজ পাচ্ছিলেন না।
ওই শ্রমিক জানান, ব্যবসা মূলত দেখভাল করতেন ছোট ভাই। বড় ভাই তাঁকে সহযোগিতা করতেন। তিনি মূলত অফিসের কাজকর্ম দেখতেন। আর ছোট ভাই দেখতেন উৎপাদন বিভাগ। ফলে শ্রমিকদের সঙ্গে বড় ভাইয়ের তেমন কথা হত না।
জানা গিয়েছে, দে পরিবারের কারখানায় উৎপাদিত দস্তানার একটা বড় অংশ রফতানি হত। তবে কি করোনা পরবর্তী বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার জেরেই দে পরিবারের ব্যবসায় ভাটা পড়েছিল? তার জেরেই গোটা পরিবার আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়?