• ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতা বেঁচে থাকা সত্ত্বেও দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: সিপি মনোজ ভার্মা
    এই সময় | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতা জীবিত থাকা অবস্থায় দোষীকে ফাঁসির আদেশ বিরল। বড়তলা থানায় এলাকায় শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তকে ফাঁসির নির্দেশ নিয়ে এমনটাই ব্যাখ্যা দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। ওই শিশুটি গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেই আঘাতের চিহ্ন অভিযুক্তের দাঁতের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। পাশাপাশি ডিএনএ ও রক্তের নমুনাও পরীক্ষা করা হয়। তা থেকেই প্রমাণিত হয় যে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত রাজীব ঘোষই দোষী। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন পুলিশ কমিশনার।

    গত ৩০ নভেম্বর কলকাতার বড়তলা থানা এলাকায় ওই শিশুকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। সে দিন সকালেই ফুটপাথবাসী এক দম্পতি শিশু নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। ঘটনার তদন্তে নেমে গত ৪ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রাম থেকে অভিযুক্ত রাজীবকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। ৭৯ দিনের মাথায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ওই শিশু বর্তমানে চিকিৎসাধীন।

    সাংবাদিক বৈঠকে এ দিন ৭৯ দিনের মাথায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করার বিষয়টি আরও একবার মনে করিয়ে দিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘সম্ভবত এটাই প্রথম যেখানে কোনও ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতা বেঁচে থাকা সত্ত্বেও দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পুরোটাই তদন্তকারী আধিকারিক, ডিসি (উত্তর) এবং যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ)-এর নেতৃত্বাধীন দলের কৃতিত্ব।’

    সিপি এ দিন আরও জানান, ঘটনার দিন রাতে বৃষ্টি হয়। ফলে প্রমাণ জোগাড় করতে কিছুটা বেগ পেতে হয় পুলিশকে। ওই এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সেখানে অভিযুক্তের খুঁড়িয়ে হাঁটার ধরন তাকে ধরিয়ে দিতে সাহায্য করে। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের বাসিন্দা রাজীব। ঘটনার পরেই সেখানে পালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত।

    তথ্য সহায়তা: শ্যামগোপাল রায়

  • Link to this news (এই সময়)