নিজেই পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, অথচ পুলিশের উপরেই হামলা! বীরভূম ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ওসি আশরাফুল শেখকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে পুলিশের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে। শুধু তাই নয়, সরকারি হাসপাতাল ভাঙচুর ও চিকিৎসক-নার্সদের নিগ্রহের অভিযোগে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের ছ'জনকে গ্রেপ্তার করেছে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিয়ের ছুটিতে মুর্শিদাবাদের লালবাগে নিজের বাড়িতে ছিলেন আশরাফুল। মঙ্গলবার রাতে অসুস্থ মাকে কৃষ্ণপুর হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসা করাতে। হাসপাতালেই মায়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আশরাফুল।
অভিযোগ, সেই সময়ে নেশা করেছিলেন আশরাফুল। ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতাল ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে লালগোলা থানার ওসি অতনু দাস , এসআই কল্যাণ সিংহ রায়-সহ দুই সিভিক ভলান্টিয়ার ঘটনাস্থলে যান। অভিযোগ, তাঁদের উপরও চড়া হন আশরাফুল ও তাঁর পরিবারের লোকজন। হাতাহাতির সময় ওসি অতনু দাসের গলা টিপে ধরেন আশরাফুল। কল্যাণ সিংহ রায়ের আঙুল ভেঙে দেওয়া হয় এবং দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ। তিনি বলেন, ‘আশরাফুল শেখকে সাময়িক ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
প্রসঙ্গত, এর আগেও কীর্ণাহার থানার ওসি থাকাকালীন এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল এই আশরাফুলের বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এ বার ফের গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে গেলেন আশরাফুল শেখ।