মাধ্যমিকের পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রীর উপর ভেঙে পড়ল সিলিং ফ্যান। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার মহেশতলার বাটানগর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রম বিদ্যামন্দিরে। এই স্কুলে পরীক্ষার সিট পড়েছে মহেশতলার নন্দিনী মাকালের। এ দিন ছিল জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষা। জানা গিয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। অবশেষে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নন্দিনীকে। সেখানেই তার পরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়।
বাংলা জাতীয় শিক্ষা মন্দিরের ছাত্রী নন্দিনী। বাবা পেশায় রিকশা চালক। এ দিন বাবার রিকশায় চেপেই মায়ের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে এসেছিল সে। মা-মেয়েকে নামিয়ে দিয়ে রিকশা নিয়ে ফিরে যান তিনি। এ দিকে পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই স্কুলে পুলিশের গাড়ি এসে থামে। পুলিশকে ভিতরে ঢুকতে দেখে অভিভাবকরা বুঝতে পারেন, কিছু একটা হয়েছে।
এর পরই নন্দিনীকে বাইরে বের করে আনা হয়। ছুটে আসেন মা শীলা মাকাল। প্রথমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মহেশতলা পুর হাসপাতালে। সেখান থেকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ফের সেখান থেকে এমআর বাঙুর। সেখানে চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দেয় নন্দিনী। স্কুল ও পর্ষদের তরফে সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়।
সন্ধ্যার দিকে নন্দিনীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়। আপাতত বাড়িতেই রয়েছে সে। তবে মাথায় যন্ত্রণা রয়েছে তার। এ দিকে বৃহস্পতিবার আবার ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষা। তা নিয়ে চিন্তিত সে, চিন্তিত বাড়ির লোকজনও।