• ট্যাংরার ঘটনায় নয়া মোড়, অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ রোমির বাবার
    এই সময় | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ট্যাংরার বাড়িতে দুই মহিলা, এক কিশোরীর দেহ উদ্ধারের ঘটনার পরতে পরতে রহস্য। কী ভাবে তিন জনের মৃত্যু হলো, তা নিয়ে ধোঁয়াশার মাঝেই এ বার অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্যাংরা থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত রোমি দে-এর বাবা স্বপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে সুদেষ্ণা, রোমি ও রোমির মেয়ে প্রিয়ংবদা, এই তিন জনকেই ট্যাংরার বাড়ি থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বুধবার সকালে।

    সুদেষ্ণা ও রোমির শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের ক্ষত রয়েছে বলে আগেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল। অন্য দিকে রোমির কিশোরী কন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে। তবে পরিবারের কোনও পুরুষ সদস্যর কোনও বক্তব্য এখনও সেই ভাবে পাওয়া যায়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।

    প্রসঙ্গত, বুধবার একটি পথদুর্ঘটনার সূত্র ধরে ট্যাংরায় তিন জনের দেহ উদ্ধারের ঘটনা সামনে আসে। বাইপাসের ধারে অভিষিক্তা মোড়ে একটি গাড়ি মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মারে মঙ্গলবার গভীর রাতে। পুলিশ জানতে পারে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িতে প্রসূন দে, প্রণয় দে নামে দুই ব্যক্তি এবং এক নাবালক ছিল। বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়।

    এর পরই আহতদের পরিবারের খোঁজ করতে নেমে পুলিশ জানতে পারে ট্যাংরার বাসিন্দা প্রসূন, প্রণয়। তাঁরা দুই ভাই। তাঁদেরই একজনের ছেলে ওই নাবালক। ট্যাংরার বাড়িতে যে তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাঁরা প্রসূন, প্রণয়দের স্ত্রী এবং প্রসূনের মেয়ে। রোমি প্রসূনের স্ত্রী, সুদেষ্ণা প্রণয়ের স্ত্রী। প্রসূন ও রোমির মেয়ে প্রিয়ংবদা।

    এখনও অবধি যে সমস্ত তথ্য উঠে আসছে (সবই সূত্র মারফত খবর)

    ১. পরিবারের সকলেই নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল

    ২. পায়েসের সঙ্গে কড়া ডোজ়ের ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল সকলে

    ৩. আর্থিক অনটনের কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা

    কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বুধবারই সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘এখনও কোনও সুইসাইড নোট হাতে আসেনি। আত্মহত্যার জন্যই প্রসূন, প্রণয়রা গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন নাকি তাঁরাই মেরেছেন নাকি অন্য কিছু হয়েছে, এখনও স্পষ্ট নয়।’

    অর্থাৎ দে পরিবারের দুই বউকে খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কলকাতার সিপি। সিসিটিভি ফুটেজও ইঙ্গিতবাহী। প্রসূন, প্রণয় ও বাড়ির নাবালক ছেলেকে রাত ১২টা ৫৫ নাগাদ গাড়িতে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। একজনের হাতে গ্লাভসের মতো কিছু একটা দেখাও যাচ্ছে। যদিও সিসিটিভির ফুটেজে খুব স্পষ্ট নয়। তবে প্রশ্ন রয়েছে আরও। রাত ১২টা ৫৫ নাগাদ ট্যাংরার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিন পুরুষ সদস্য। রাত ৩টে ১৫ নাগাদ অভিষিক্তার মোড়ে দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তা হলে মাঝের এই ২ ঘণ্টা কোথায় ছিলেন তাঁরা? সব প্রশ্নর জবাব দিতে পারবেন প্রণয়, প্রসূন আর প্রণয়ের নাবালক ছেলে। তবে সকলেই এখন চিকিৎসাধীন।

  • Link to this news (এই সময়)