• কুম্ভে স্নানও সারেন, এর পর থেকেই নিখোঁজ গোবরডাঙার অমিত রায়, অসহায় অবস্থা পরিবারের
    এই সময় | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • স্ত্রীকে নিয়ে মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন পুণ্যস্নান করতে। অমৃতস্নানও সারেন। এর পর থেকেই খোঁজ নেই ষাটোর্ধ্ব অমিত রায়ের। একটা ফোন এসেছিল, তবে সেই ফোন নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। গোবরডাঙা সংহতি পায়রাগাছি সুভাষপল্লি এলাকার রায় বাড়িতে এখন চিন্তার ছায়া। বয়স্ক মানুষ, একা একা কোথায় রয়েছেন, কী করছেন, কেউ জানেন না। ইতিমধ্যেই প্রয়াগরাজে পৌঁছেছেন ছেলে। মা ও ছেলে মিলে খুঁজছে তাঁকে। সুভাষপল্লির বাড়িতে রয়েছেন মেয়ে সঙ্গীতা। তিনিই জানালেন, কী ঘটেছিল।

    ষাট পেরিয়ে গিয়েছে অমিত রায়ের। শরীরে নানা সমস্যা। বয়স হয়েছে স্ত্রী শিখা রায়েরও। তাই অমিত যখন কুম্ভস্নানে যেতে চেয়েছিলেন, ছেলে-মেয়ে খুব একটা রাজি ছিলেন না। তবু বাবা, মায়ের ইচ্ছা, পুরোপুরি তা অবহেলাই বা কী করে করেন! শেষমেশ ১০ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে রওনা দেন সস্ত্রীক অমিত রায়।

    ১২ তারিখ প্রয়াগরাজে গিয়ে কুম্ভমেলায় স্নানও সারেন। পরের দিন সকালে শৌচাগারে যাবেন বলে অমিত ঘর থেকে বেরোন। স্ত্রী সঙ্গে যেতে চাইলেও রাজি হননি অমিত রায়। এর পর থেকেই আর খোঁজ নেই তাঁর। স্ত্রী স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও খোঁজ পাননি। বাড়িতে জানান শিখা। এর পর ছেলে অভিষেক প্রয়াগরাজে যান। মা-ছেলে মিলে অনেক জায়গায় খোঁজও করেন।

    এ দিকে শিখা রায় নিজের মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে গেলেও, অমিত রায় তাঁর মোবাইল ফোন বাড়িতেই রেখে গিয়েছিলেন। বুধবার মেয়ে সঙ্গীতা দত্ত জানান, ভাই গিয়ে স্টেশন থেকে কুম্ভমেলা চত্বর, সর্বত্র বাবার ছবি দিয়ে পোস্টার লাগিয়েছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার তাঁর বাবার ফোনে মিসড কল আসে। ঘুরিয়ে ফোন করায় ফোনের ওপার থেকে একজন জানান, সুজাতপুর স্টেশন থেকে কেউ অমিত রায়কে দিল্লিগামী ট্রেনে তুলে দিয়েছেন। যদিও এর পর থেকে আর ওই নম্বরে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। খোঁজ নেই অমিত রায়ের। গোবরডাঙার বাড়িতে চিন্তায় মেয়ে, আত্মীয়স্বজনরা।

  • Link to this news (এই সময়)