সাংসদ কীর্তি আজাদের নাম করে প্রতারণা, গ্রেপ্তার বাবা ও ছেলে
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দুর্গাপুরে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ গ্রেপ্তার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর ছেলে। অভিযোগ উঠেছে, সাংসদ কীর্তি আজাদের নাম করে মোবাইল ফোন নিয়েছে এই কীর্তিমানরা। এমনকি রাজ্যের এক মন্ত্রীর নাম করে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্গাপুর থানার পুলিশ এই গ্রেপ্তার করেছে এই গুণধর কাউন্সিলর ও তাঁর ছেলেকে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূলের ওই প্রাক্তন কাউন্সিলরের নাম মানস রায়। তিনি দুর্গাপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর। তাঁর ছেলের নাম অভ্রনীল রায়। দীর্ঘদিন ধরে এই পিতাপুত্রের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেলেও এতদিন কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ফলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া ছিল। কিন্তু সম্প্রতি এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি সেই টাকা না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতেই বিষয়টি চাউর হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হতেই তাঁদের বিরুদ্ধে আরও প্রতারণার অভিযোগ সামনে এসেছে।
এদিকে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও একটি প্রতারণার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, সাংসদ কীর্তি আজাদের নাম করে একটি মোবাইল ফোন কেনার অভিযোগ উঠেছে। যদিও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বিষয়টির অন্যরকম ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি ধৃত দুই অভিযুক্তের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন। ডিসি বলেন, ‘প্রতারণার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই। আদালতে তুলে তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের নাম করে একাধিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। কখনও কারও কাছ থেকে কম্পিউটার, দামী মোবাইল কিনেছেন, কিন্তু কোনও টাকা দেননি। আবার চাকরি দেওয়ার নাম করেও একাধিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা ও জিনিসপত্র নিলেও কাউকে কোনও কিছু দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।