বিমল বসু: হঠাৎই প্রচণ্ড শব্দ! কেঁপে উঠল মাটি। ফেটে গেল নদীর চর। উত্তর ২৪ পরগনার সাহেবখালি নদীর চরের মাটি ফেটে চৌচির হল। প্রায় ৩০০ ফুট ধস। হঠাৎই বিপদের মুখে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েত কেতারচক এলাকা বাসিন্দারা। এই শীতের দিনেও সেই অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান সকালে এ অঞ্চলে একটু ঝড়-বৃষ্টি হয়। ওই ঝড়-বৃষ্টির পরই আচমকাই নদীর দিক থেকে একটা প্রচণ্ড শব্দ ভেসে আসে। চমকে ওঠেন এলাকাবাসী। তাঁরা শব্দ লক্ষ্য করে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন নদীর চরের মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছে।
নদীর চরের মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছে দেখে নদীর আশপাশে বা নদী নিকটবর্তী অঞ্চলে যাঁদের বাড়ি রয়েছে, তাঁরা যথেষ্ট ভীত হয়ে পড়েন। ধস নিয়ে হয়ে পড়েন আতঙ্কগ্রস্ত। শুধু তো মাটি নয়, নদী ধারের বেশ কিছু গাছও ধসে নেমে যাওয়া মাটির সঙ্গে নদীর জলে তলিয়ে যায়!
পরিস্থিতি যা, তাতে করে যে কোনও সময়ে নদীবাঁধ ভেঙে চরের মাটি আরও বসে গিয়ে প্লাবিত হতে পারে ওই এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁদের অভিজ্ঞতায় এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তাই তাঁরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যান। তাঁরা বলেন, 'আমরা বড় বিপদে পড়ে গেলাম। অবিলম্বে সংস্কার না হলে বড়সড় বিপত্তি ঘটতে পারে।'
হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সমিতির বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ সুরজিৎ বর্মন বলেন, প্রচণ্ড শব্দ করে সাহেবখালি নদীর চরের মাটি ফেটে যাওয়ায় সকলে ভীত হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সব দফতরে জানানো হয়েছে।