কাকদ্বীপে সস্ত্রীক সিপিএম কর্মী ‘খুনে’র তদন্ত থেকে অব্যাহতি দময়ন্তীর
প্রতিদিন | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গোবিন্দ রায়: কাকদ্বীপে সস্ত্রীক সিপিএম কর্মী খুনের তদন্ত থেকে ‘নিষ্কৃতি’ পেলেন দময়ন্তী সেন। শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের তৈরি সিট থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন তিনি। বুধবার সেই আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাই কোর্ট। এবার সিটের মাথায় কে থাকবেন, তা পরবর্তী শুনানিতে ঠিক হবে।
২০১৮ সালে ১৪ মে কাকদ্বীপের সিপিএম কর্মী দেবপ্রসাদ দাস এবং তাঁর স্ত্রী ঊষারানি দাসের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের কিছু নেতা-কর্মী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না পরিজনেরা। কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। ২০২৩ সালে হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়। আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এদিকে সিটের প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন দময়ন্তী।
হাই কোর্টে আইপিএস আধিকারিক নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা তুলে ধরেন। জানান, তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। গাড়ি চড়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁকে আপাতত মানসিক চাপ নিতেও নিষেধ করেছেন। তাই এই মামলা থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন দময়ন্তী। এদিন তাঁর সেই আরজি মঞ্জুর করল হাই কোর্ট। ফলে সিটের নেতৃত্বে কে থাকবেন, তা ঠিক আপাতত অনিশ্চিত। পরবর্তী শুনানিতে তা ঠিক করা হবে।