• গুলিবিদ্ধ হুগলির পুলিশ আধিকারিক, কী কারণ?
    এই সময় | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • গুলিবিদ্ধ হয়েছেন হুগলির চন্ডীতলা থানার আইসি জয়ন্ত পাল। হাওড়ার ব্যাটরা থানা ও শিবপুর থানার মাঝামাঝি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, পুলিশকর্মীদের নিজেদের মধ্যে বচসার জেরে আহত হয়েছেন তিনি। তাঁকে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে সহকর্মীরা তাঁকে গুলি করেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    জানা গিয়েছে, দুটি গাড়িতে করে চারজন পুলিশ কর্মী আসছিলেন হাওড়ার এনএস রোড ধরে। ব্যাটরা থানা ও শিবপুর থানার মাঝামাঝি এলাকায় এসে নিজেদের মধ্যেই বচসা শুরু হয়। সেই সময়েই গুলিবিদ্ধ হয়েছে চন্ডীতলা থানার আইসি। বুধবার রাতের এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ কিছু বলতে চাইছে না।

    জানা গিয়েছে, ওই সময়ে পুলিশ আধিকারেকের সঙ্গে একজন মহিলা ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি গাড়ি আটক করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। ওই মহিলাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে ওই আধিকারিকের কী সম্পর্ক তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। মহিলার সঙ্গে কোনও বিবাদের জেরেই কী এই ঘটনা ঘটেছে তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

    উল্লেখ্য, সহকর্মীর গায়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে বীরভূম ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ওসি আশরাফুল শেখ-এর বিরুদ্ধে। তাঁকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সরকারি হাসপাতাল ভাঙচুর ও চিকিৎসক-নার্সদের নিগ্রহের অভিযোগে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের ছ'জনকে গ্রেপ্তার করেছে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ছুটিতে মুর্শিদাবাদের লালবাগে নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন আশরাফুল। মঙ্গলবার রাতে অসুস্থ মাকে কৃষ্ণপুর হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসা করাতে। হাসপাতালেই মায়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আশরাফুল। পুলিশ কর্মীরা এলে তাঁদের মারধর করেন তিনি। এই কথা জানার পরেই তাঁকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ ।

  • Link to this news (এই সময়)