দেড় কোটি টাকার সোনার বিস্কুট সহ কৃষ্ণগঞ্জে গ্রেপ্তার পাচারকারী
বর্তমান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: কৃষ্ণগঞ্জ সীমান্তে থেকে দেড় কোটি টাকা মূল্যের সোনার বিস্কুট ও সোনার ইট বাজেয়াপ্ত হল। ধরা পড়েছে একজন ভারতীয় পাচারকারী। বিএসএফের ৩২ বাটালিয়নের জওয়ানরা এই সোনা পাচারের চেষ্টা ধরে ফেলেন। ধরতে গিয়ে কম কসরত করতে হয়নি তাঁদের। এমনকী, শূন্যে গুলিও চালাতে হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে কৃষ্ণগঞ্জ সীমান্তের বানপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার বিস্কুট ও ইটের ওজন প্রায় দেড় কেজি।
বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি তথা জনসংযোগ আধিকারিক এন কে পান্ডে বলেন, ‘চোরাচালান এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিএসএফ ক্রমাগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। জওয়ানরা পাচার আটকাতে খুব ভালো কাজ করছেন। বানপুরের এই সফল অভিযান সীমান্ত সুরক্ষা এবং চোরাচালান প্রতিরোধের প্রতি বিএসএফ যে বদ্ধপরিকর, তার বড়ো উদাহরণ।’
বিএসএফের সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলার দিকে নদীয়া জেলার বানপুর গ্রাম দিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা করে একদল পাচারকারী। তারা বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিকে আসছিল। গোপন সূত্রে সেই খবর পায় ৩২ বাটালিয়নের জাওয়ানরা। সীমান্তের কাঁটাতারের কাছেই লুকিয়ে থেকে পাচারের পরিকল্পনা করছিল তারা। কিছুক্ষণ পরে একজন সন্দেহভাজন ভারতীয় পাচারকারীকে আসতে দেখে বিএসএফের জাওয়ানরা। ঘটনাটি ঘটে বানপুরের ফুলবাড়ি সীমান্তের কাছে। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি কাঁটাতারের কাছে পোঁছে বাংলাদেশের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া দুটি প্যাকেট তুলে নেয়। কারণ পুটিলতে বেঁধে সেই সোনার বিস্কুট বাংলাদেশ থেকে ভারতে ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল।
ফিরে আসার পথে জওয়ানরা তাকে ঘিরে ধরে। সে পালানোর চেষ্টা করে। বেগতিক বুঝে বিএসএফ শূন্যে এক রাউণ্ড গুলি চালায়। তাতেই ভয় পেয়ে পাচারকারী দাঁড়িয়ে পড়ে। তারপর তাকে পাকড়াও করা হয়। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত পাচারকারীর কাছ থেকে ৪টি সোনার বার, ৫টি সোনার বিস্কুট এবং একটি ছোট সোনার টুকরো সমেত দু’টি ছোট প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা সোনার মোট ওজন আনুমানিক ১ কেজি ৭৪৫ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৪৮ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫৭৫ টাকা।
কৃষ্ণগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে সোনার বিস্কুট পাচারের ঘটনা নতুন নয়। মাঝেমধ্যেই চোরাকারবারিরা বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে সোনার বিস্কুট পাচার করে। মূলত আরব থেকে সেই সোনার বিস্কুট ঘুর পথে বাংলাদেশ দিয়ে চোরাই পথে চলে আসে সীমান্তে। এই কাজের জন্য উভয় সীমান্তেই বড়ো চক্র রয়েছে। তবে, অধিকাংশ সময় যারা ধরে পড়ে, তারা এই চক্রের ক্যারিয়ার। -নিজস্ব চিত্র