বহরমপুরে গভীর রাতেই অপারেশন চালাত দুষ্কৃতীরা, টোটো চুরি গ্যাংয়ের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
বর্তমান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: রাস্তার ধারে রাখা একের পর এক টোটো নিমেষের মধ্যে উধাও হয়ে যাচ্ছে। বহরমপুর শহরে টোটো চুরির অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিস গোটা একটি গ্যাংকে পাকড়াও করেছে। মঙ্গলবার রাতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে টোটো চুরির গ্যাংয়ের মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের নাম অনিল মালিধ্যা, খোকন ঘোষ, বিবেক শাহানি ও টারজান শেখ। প্রত্যেকের বাড়ি বহরমপুর থানা এলাকায়। তাদের কাছ থেকে তিনটি চোরাই টোটো এবং বেশকিছু যন্ত্রাংশ উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের বুধবার বহরমপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার ব্যারাক স্কয়ার ময়দানের পাশে কোর্ট মার্কেট থেকে একটি টোটো চুরি যায়। ওই চুরির ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিস এই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে অনিল ও খোকন পেশায় টোটো চালক। রাস্তা ও বাজার থেকে তারা টোটো চুরি করত। তারপর বিবেক ও টারজানকে বিক্রি করে দিত। গত কয়েকমাস ধরে এভাবেই টোটো চুরি করে সেগুলি তারা বিক্রি করছিল।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পেরেছে, গোটা টোটো অনেক সময় অন্যত্র বিক্রি করতে তাদের সমস্যা হতো। তাই টোটো কাটাই করে ও যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করত তারা। প্রায় পাঁচটি টোটোর স্ক্র্যাপ উদ্ধার করেছে পুলিস। আর যন্ত্রাংশ জেলা এবং জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অল্প টাকার বিনিময়ে বিক্রি করত। চুরি হয়ে যাওয়া টোটোগুলির কোনও অস্তিত্ব না পাওয়ায় সমস্যায় পড়ত পুলিস। অবশেষে এই গ্যাংয়ের চার সদস্য গ্রেপ্তার হতেই স্বস্তি মিলেছে টোটো চালকদের।
বহরমপুর থানার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ বলেন, সোমবার একটা টোটো চুরির অভিযোগ দায়ের হতেই আমাদের টিম তদন্তে নামে। ওই টোটোর চোর সহ মোট চারজনের একটি গ্যাংকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তিনটি টোটো উদ্ধার হয়েছে। সেই টোটোগুলি শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে গত তিন মাসে এই গ্যাং চুরি করেছিল। তাদের হেফাজতে নিয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এই গ্যাংয়ের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টোটোগুলি কোথা থেকে চুরি করেছে এবং কীভাবে কোথায় তা বিক্রি করেছে তাও খতিয়ে দেখা হবে।
টোটোচালক সুভাষ সরকার বলেন, সোমবার রাতে কোর্ট মার্কেটে টোটো রেখে আমি বাজারের ভিতরে গিয়েছিলাম। এক ঘণ্টা পরে এসে দেখি টোটো নেই। টোটো লক করা ছিল তারপরেও টোটো চুরি করে নিয়ে পালিয়ে ছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিস খুবই ভালো কাজ করেছে। অভিযোগ করার দুদিনের মধ্যে চুরি যাওয়া টোটো উদ্ধার করেছে।