• কুলিকের পাড়ে শতাব্দী প্রাচীন ভাসান কালীপুজোয় গ্রামে ভক্তের ঢল নামল
    বর্তমান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: শতাব্দী প্রাচীন ভাসান কালী পুজো  হল হেমতাবাদ ব্লকের টিটিহি গ্রামে কুলিক নদীর পাড়ে। বুধবার সকাল থেকেই হেমতাবাদ, ঠাকুরবাড়ি, টিটিহি, সমাসপুরের মানুষ পুজো দিতে ভিড় করেন। পুজো উপলক্ষ্যে বসে মেলা। চালু রয়েছে বলি প্রথাও। স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর মাঘী পূর্ণিমার আটদিন পর এই পুজো করেন টিটিহি গ্রামের বাসিন্দারা।  পুরনো বটগাছের নীচেই কালী মূর্তি গড়ে পুজো হয়। নেই কোনও স্থায়ী মন্দির বা ছাউনি।


    স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল চন্দ্র দাস বলেন, বহুবছর আগে কুলিক নদীতে কালী মূর্তি ভেসে আসে। স্বপ্নাদেশ পেয়েই প্রাচীন বটগাছের নীচে কালীপুজো শুরু করেন স্থানীয় জমিদার তালুকদার পরিবার। কালীমূর্তি কুলিক নদীতে ভেসে এসেছিল বলেই এই কালীর নাম ভাসান কালী। এখনও জমিদার পরিবারের লোকেরা পুজো দেওয়ার পর ফের পুজোর আয়োজন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  জমিদার পরিবারের সদস্য শেখর চন্দ্র তালুকদার বলেন, আমাদের বাপ ঠাকুরদা এই পুজো করতেন মাঘী পূর্ণিমার দিন। সেই প্রথা মেনে আমাদের পরিবার মাটির দেবী প্রতিমা তৈরি করে পুজো করে। আমাদের পুজোর ৮ দিন পরে গ্রামের মানুষ পুজো করেন। বহু বছর ধরেই এই প্রথা চলে আসছে। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ রঞ্জিত কুমার দাস বলেন, গত ৫০ বছর ধরে কমিটি গঠন করে এই পুজো করা হচ্ছে। তবে এই পুজো শতাব্দী প্রাচীন।  পুজো সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবছর টিটিহি গ্রামের বাসিন্দারা চাঁদা তুলেই এই পুজো করেন। পুজোকে কেন্দ্র করে মেলা, কালীর গান ও বাউল গানের আয়োজন করা হয় প্রতিবছর। শুধু হেমতাবাদ ব্লকই নয় দূরদূরান্ত থেকেও ভক্তরা পুজো দিতে আসেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)