• দু’বছর ধরে মেলেনি মজুরি, সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ
    বর্তমান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: মজুরির দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে দৈনিক হাজিরায় কাজ করা শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। শুধু তাই নয়, ওই দাবিতে বুধবার শ্রমিকরা দিনভর হাসপাতালের সুপার ডাঃ কৌশিক গড়াইকে ঘেরাও করে রাখেন। চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ। এর ফলে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এদিন স্বাভাবিক পরিষেবা কিছুটা হলেও বিঘ্নিত হয়। শেষ পর্যন্ত আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দৈনিক হাজিরায় কাজ করা শ্রমিকদের বেকায়া মেটানোর আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 


    বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর সংখ্যা মাত্র চার জন। ফলে বাধ্য হয়েই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর অভাব ঢাকতে স্বাস্থ্যদপ্তর চুক্তির ভিত্তিতে দৈনিক হাজিরায় কিছু শ্রমিক বহাল করেছে। হাসপাতাল সূত্রেই জানা গিয়েছে, এখন ২১ জন শ্রমিক কাজ করছেন। তাঁরা মূলত স্ট্রেচার টেনে নিয়ে যাওয়া, রোগীকে সাহায্য করা, রোগীর ব্যান্ডেজ বাঁধার মতো কাজগুলি করেন। এই কাজের জন্য শ্রমিকরা দৈনিক ১৫০ টাকা করে মজুরি পান। 


    কিন্তু শ্রমিকদের অভিযোগ, এমনিতেই তাঁদের মজুরি কম। তার উপর গত তিন বছর ধরে তাঁদের মজুরি মিলছে না। দৈনিক হাজিরায় নিযুক্ত একনাথ সুরি নামে এক শ্রমিক বলেন, এই সময়ে দেড়শো টাকা মজুরিতে কী আর হয়! এমনিতেই মজুরির পরিমাণ এত কম। তার উপর গত তিন বছর ধরে মজুরি পাচ্ছি না আমরা। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই মঙ্গলবার থেকে আমরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি। এই দাবিতে এদিন সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। দু’দিন কোনও কাজ করিনি। আশা করছি, আমাদের সমস্যার এবার সমাধান হবে। 


    শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের দাবি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আগামী সাত দিনের মধ্যে বৈঠকের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৈঠকের আশ্বাস দেওয়ায় আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। 


    বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার ডাঃ কৌশিক গড়াই বলেন, বুধবার শ্রমিকরা আমাকে ঘেরাও করেছিলেন। তাঁদের বলেছি, খুব শীঘ্রই বৈঠক করে মজুরির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয় বিধায়ক জয়প্রকাশ টোপ্পো বলেন, বিধানসভার কাজে কলকাতায় আছি। বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের শ্রমিকদের মজুরি সমস্যার কথা শুনেছি। বীরপাড়ায় ফিরে গিয়েই বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)