প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআরের দাবি তৃণমূলের, সোমবার থেকে বিডিও অফিসে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নার হুমকি
বর্তমান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, ইসলামপুর: ইসলামপুরের কমলাগাঁও সুজালির পঞ্চায়েত প্রধান নুরি বেগমের বিরুদ্ধে এফআইআরের দাবিতে সোমবার থেকে বিডিও অফিসের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নায় বসতে চলেছে সুজালির তৃণমূল নেতৃত্ব। বুধবার বিডিও দীপান্বিতা বর্মনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আব্দুল সাত্তার।
এদিন দুপুরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আব্দুল সাত্তার, ব্লক সহ সভাপতি কামালউদ্দিন সহ নেতা কর্মীরা মিছিল করে বিডিও অফিসের সামনে জমায়েত করেন। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর দলের একটি প্রতিনিধি দল বিডিও’র সঙ্গে দেখা করে। ঘণ্টাখানেক আলোচনা হয়। পরে আব্দুল সাত্তার বলেন, প্রধান নুরি বেগমের বিরুদ্ধে একাধিক প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছিল। তা প্রমাণিত হয়েছে। তারপরও প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর হল না। এতে মানুষ প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ। অঞ্চল সভাপতির হুঁশিয়ারি,প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর না হলে সোমবার থেকে আমরা বিডিও অফিসের সামনে ধর্নায় বসব। প্রধান গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত ধর্না চলবে। ধর্নার বিষয়টি এদিন বিডিও’কে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছি। বিডিও আমাদের ডিএম অফিস যেতে বলেছেন। এর আগেও ডিএম অফিসে গিয়েছিলাম। ব্লক ও জেলা প্রশাসন শুধু মুখেই বলছে, কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিডিও দীপান্বিতা বর্মন বলেন, প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা কিছু অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিসের কাছে পাঠিয়েছি। সেগুলির তদন্ত চলছে। কিছু অভিযোগ আমরাও তদন্ত করে দেখছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। এজন্য একটু সময়ের দরকার। নুরি বেগম বলেন,আমি দুর্নীতি করিনি। কোনও দুর্নীতির সঙ্গেও যুক্ত নই। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে।
পঞ্চায়েত প্রধান নুরি বেগমের স্বামী আব্দুল হক সুজালি অঞ্চলের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি। একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ আব্দুলই ছিল সুজালির শেষ কথা। সুজালি পঞ্চায়েতটি ইসলামপুর ব্লকের অধীন। তবে বিধানসভার দিক থেকে চোপড়ার অংশ। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে চোপড়া ও ইসলামপুরের দুই লবির কাজিয়া চলে। সূত্রের খবর, আব্দুল হক দুই লবিতেই পা বাড়িয়ে ছিলেন। তাই নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারেননি। নির্বাচনে ইসলামপুর লবি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এবং আব্দুলকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ব্লক সহ সভাপতি কামালউদ্দিন বলেন, একাধিক দুর্নীতিতে প্রধানের সঙ্গে পঞ্চায়েতের একাংশ কর্মীও জড়িত রয়েছেন বলে আমরা মনে করছি। বিডিও’র সমস্ত দিক তদন্ত করে দেখা উচিত। এখনও আমরা প্রশাসনের উপর আস্থা রাখছি।