• ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পের কাজে জট কাটাতে বৈঠকে জেলাশাসক
    বর্তমান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: গত নভেম্বরের গোড়ায় জলপাইগুড়িতে এসে ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পের কাজ নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়। দপ্তরের আধিকারিকরা সেসময় মন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, ৪৭.৮৭ শতাংশ বাড়িতে জল পৌঁছে গিয়েছে। যা শুনে মন্ত্রী আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, নভেম্বরের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দিতে হবে। কিন্তু মন্ত্রী ঘুরে যাওয়ার সাড়ে তিনমাস পরও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের রিপোর্ট বলছে, জলপাইগুড়ি জেলায় ৫০.৮ শতাংশ বাড়িতে জল পৌঁছেছে। সুতরাং কাজের গতি যে শ্লথ, তা স্পষ্ট। কিন্তু কেন? তা খতিয়ে দেখতেই বুধবার পিএইচই দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শমা পারভীন। জট কাটিয়ে দ্রুত যাতে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়েই আলোচনা হয় বৈঠকে।


    পিএইচই দপ্তর সূত্রে খবর, পাইপ লাইন বসানোর কাজে জমি নিয়ে এখনও কয়েকটি জায়গায় সমস্যা রয়ে গিয়েছে। মূলত রাজগঞ্জ ব্লক এলাকায় ওই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়াও বনদপ্তরের জমির উপর দিয়ে পাইপ লাইন বসানোর কাজে কয়েকটি জায়গায় নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) পাওয়া যায়নি। কিছু জায়গায় জলের সোর্স নিয়েও কমবেশি সমস্যা রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ জায়গাতেই কার্যত পুরো কাজটাই হয়ে গিয়েছে। সামান্য কিছু অংশে জট থেকে যাওয়ায় জল সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এদিন ব্লক ধরে ধরে সেসব খুঁটিনাটি বিষয় শোনেন জেলাশাসক। এরপর যেখানে যা সমস্যা রয়েছে, তা কাটাতে উদ্যোগ নেন তিনি।


    জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সোমনাথ চৌধুরী বলেন, জেলায় ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেব আমরা। এখনও পর্যন্ত ৫০.৮ শতাংশ বাড়িতে জল পৌঁছেছে। কাজের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জানতে এদিন বৈঠক ডেকেছিলেন জেলাশাসক। 


    এদিনের বৈঠকে ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহুয়া গোপ। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ৫০ শতাংশ টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু তারা কোনও অর্থ দিচ্ছে না। পুরোটাই রাজ্য সরকারের টাকায় কাজ হচ্ছে। 


    প্রশাসন সূত্রে খবর, ডাবগ্রাম-২ পঞ্চায়েত এলাকায় জলস্বপ্ন প্রকল্পের পাইপ লাইন বসাতে গিয়ে জমি নিয়ে সমস্যা দেখা গিয়েছে। এদিকে, খোলাচাঁদফাঁপরি ও ওদলাবাড়িতে বনদপ্তরের এনওসি না মেলায় ওই এলাকায় পাইপ লাইনের কাজ থমকে গিয়েছে। তবে চালসায় জলের সোর্স নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তা মিটে গিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)