• টোটো বিক্রির অনুমতি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা আদায়, জানাজানি হতেই থানায় ‘মুচলেকা’ দিলেন অভিযুক্ত
    বর্তমান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: মাস ছ’য়েক আগে টোটো বিক্রির জন্য নিজের এলাকায় শোরুম খোলেন ওদলাবাড়ির নাজির হোসেন। কিন্তু নিয়ম মেনে টোটো বিক্রি করতে গেলে পরিবহণ দপ্তরের অনুমোদন প্রয়োজন। এই অনুমোদন কীভাবে দ্রুত পাওয়া যেতে পারে, তারই খোঁজ করতে জলপাইগুড়িতে আরটিও অফিসে এসে এক ‘দালাল’-এর খপ্পরে পড়েন ওদলাবাড়ির ওই যুবক। 


    অভিযোগ, সগন মাহাত নামে অভিযুক্ত যুবক মোটা টাকার বিনিময়ে টোটো বিক্রির জন্য পরিবহণ দপ্তরের ট্রেড সার্টিফিকেট অ্যান্ড ট্রেড রেজিস্ট্রেশন (টিসিআর) পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এরপর ধাপে ধাপে ২৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় সগন। গত চারমাস ধরে টাকা নেওয়ার অঙ্ক বাড়লেও হাতে টিসিআর না পেয়ে সম্প্রতি বেঁকে বসেন ওদলাবাড়ির ওই যুবক। জানিয়ে দেন, টিসিআর না পেলে তিনি আর টাকা দেবেন না। এ পর্যন্ত যে টাকা দিয়েছেন তা ফেরত চান। কিন্তু অভিযুক্ত টাকা ফেরাতে রাজি না হওয়ায় বুধবার জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার দ্বারস্থ হন ওদলাবাড়ির ওই যুবক। এরপরই অভিযুক্ত যুবক থানায় এসে ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরাবে বলে ‘মুচলেকা’ দেয়। 


    নাজির বলেন, আমি এদিন কোতোয়ালি থানার দ্বারস্থ হই। এরপর পুলিসের পক্ষ থেকেই অভিযুক্ত যুবককে ফোন করে থানায় আসতে বলা হয়। সেইমতো অভিযুক্ত এসে আমাকে লিখিত দিয়ে জানায়, ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরাবে সে। 


    টিসিআর পাইয়ে দেওয়ার নামে যার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ, সেই সগন মাহাত এদিন টেলিফোনে ওদলাবাড়ির ওই যুবকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নেয়। তার দাবি, আমি পরিবহণ দপ্তরের কাজকর্ম করে দিই। ওই যুবক শোরুম থেকে টোটো বিক্রির জন্য টিসিআর বের করে দেওয়ার কাজের জন্য আমার কাছে এসেছিলেন। আমি তার কাছ থেকে ২৮ হাজার টাকা নিয়েছি। এখন যেহেতু পরিবহণ দপ্তর থেকে টিসিআর দেওয়া হচ্ছে না, তাই ওই যুবকের কাজ করে দিতে পারিনি। আমি ওঁকে টাকা ফেরত দিয়ে দেব বলে জানিয়েছি। ওই যুবকের পাল্টা দাবি, জলপাইগুড়িতে পরিবহণ দপ্তরে টাকা না দিলে কোনও কাজ হয় না। সব টেবিলেই টাকা দিতে হয়। 


    যদিও অভিযোগ উড়িয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পরিবহণ আধিকারিক সোনম লেপচা বলেন, আমাদের দপ্তরে কাজের জন্য কাউকে এক টাকা দিতে হয় না। নিয়ম মেনে আবেদন করলে অবশ্যই টিসিআর পাওয়া যাবে। তবে আমি দু’মাস হল দায়িত্ব নিয়েছি। এই সময়ে ই-রিকশর একটিও টিসিআর ইস্যু হয়নি। এখন ওই কাজ বন্ধ রয়েছে। যে বা যারা পরিবহণ দপ্তরে কাজের নাম করে টাকা নিচ্ছে, আমরা তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।
  • Link to this news (বর্তমান)