বুধবার রাজ্য হিমঘর সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। কৃষি বিপণন দপ্তরের হিসেবে, এবার ১ কোটি ৩০ লক্ষ থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টন আলু (৫০ কেজির ২৬-২৮ কোটি বস্তা) উৎপাদন হতে পারে। রাজ্যের হিমঘরগুলিতে সব মিলিয়ে ৮১-৮২ লক্ষ টন (১৬ কোটি বস্তা) আলু সংরক্ষণ করার সংস্থান রয়েছে। মে মাস পর্যন্ত মাঠ থেকে প্রায় ৬-৭ কোটি বস্তা আলু সরাসরি বাজারে আসবে। রাজ্য হিমঘর অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি শুভজিৎ সাহা জানান, আমাদের আশঙ্কা হিমঘরগুলিতে অন্তত ৩ কোটি প্যাকেট আলুর জায়গা নাও হতে পারে। তবে ফেব্রুয়ারি বা মার্চের গোড়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে আলু নষ্ট হলে পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টাবে। এবার আবহাওয়া আলুচাষের অনুকূল ছিল। পাশাপাশি চাষের জমিও কিছুটা বেড়েছে। গতবছর ৪ লক্ষ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ১০ হাজার হেক্টর। ফলে হিমঘরে আলু রাখার জায়গা পেতে সমস্যা হতে পারে, এটা বুঝে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ছোট ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য আগাম ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকার বলেছে, হিমঘরগুলিতে ৩০ শতাংশ জায়গা বরাদ্দ রাখতে হবে তাঁদের উৎপাদিত আলু সংরক্ষণের জন্য। কৃষি বিপণন দপ্তর এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিষয়টি নিয়ে কৃষি বিপণন দপ্তরের সঙ্গে হিমঘর মালিকদের আলোচনা হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন কর্তা পতিতপাবন দে জানান, এই ব্যবস্থায় তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। তবে ছোট ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য ৩০ শতাংশ জায়গার সংরক্ষণ নিয়ে যে বিধি রয়েছে, সেটি ২০ মার্চের পর উঠে যাবে। প্রশাসনের এই নির্দেশের বিষয়ে তাঁদের আপত্তি রয়েছে। বৈঠকে ওই তারিখ নির্দিষ্ট করা হয়েছিল ১৫ মার্চ। ওই দিনটিকেই বহাল রাখার জন্য সংগঠনের তরফে দপ্তরকে বলা হবে। একইসঙ্গে হিমঘরের ভাড়া বৃদ্ধিরও দাবি করেছে অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এখানে ভাড়া অনেক কম। এই কারণে বহু হিমঘর রীতিমতো লোকসানে চলছে।