• বড়তলা কাণ্ড: নির্যাতিতা বেঁচে থাকলেও আসামিকে ফাঁসির সাজা রাজ্যে এই প্রথম
    বর্তমান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দেড়শো বছরের প্রাচীন কলকাতা পুলিসের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনার সাক্ষী রইল লালবাজার। ধর্ষণের মামলায় নির্যাতিতা জীবিত থাকলেও অভিযুক্তের ফাঁসির আদেশ এরাজ্যে আগে কখনও হয়নি বলে অভিমত পুলিসের তাবড় অফিসারদের। বড়তলা ধর্ষণ কাণ্ডের মামলায় ফাঁসির রায় নিঃসন্দেহে বড়সড় সাফল্য কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দাদের। বিশেষ করে আর জি কর পর্বের প্রেক্ষাপটে এই রায় তাৎপর্যপূর্ণও বটে। বুধবার বিকেলে লালবাজারে সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন কলকাতার পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা।


    ধর্ষণের মামলায় আসামি মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেয়েছে এর আগেও। তবে সবকটি ক্ষেত্রেই ধর্ষণের সঙ্গে খুনের মামলা ছিল। নির্যাতিতা মারা যাননি, অথচ আসামির ফাঁসির আদেশ হয়েছে, অতীতে এমন ঘটনা এ রাজ্যে ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না কেউ। তাহলে বড়তলার ঘটনাকে কেন বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে আখ্যা দিয়েছে আদালত? কলকাতা পুলিসের এক গোয়েন্দার কথায়, ‘ধর্ষণের পর ৮১ দিন কেটে গিয়েছে। নির্যাতিতা সাত মাসের শিশুকন্যা এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনার পর প্রায় তিনমাস হতে চললেও শিশুটির ওজন এক গ্রামও বাড়েনি। এক দানা খাবারও খাওয়ানো যাচ্ছে না। ধর্ষণের নৃশংতায় শিশুকন্যার খাদ্যনালী ও জননতন্ত্র জট পাকিয়ে গিয়েছে!’


    আক্ষরিক অর্থেই লালবাজারের গোয়েন্দাদের একাংশ বলছে, আর জি করের গ্লানি সরিয়ে লালবাজারকে নতুন দিশা দেখাল বড়তলা কাণ্ডের ফাঁসির রায়! মঙ্গলবার বিকেল থেকেই লালবাজারের অলিন্দে গোয়েন্দাদের নিজস্ব আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে এই রায়ের কথা। 


    আর জি কর মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা পুলিসের ভূমিকা নিয়ে যে ভাষায় কাঁটাছেড়া করেছিল, তাতে লালবাজারের গোয়েন্দাদের আত্মবিশ্বাস কার্যত তলানিতে চলে গিয়েছিল। তাই প্রথম থেকেই বড়তলা কাণ্ডে বাড়তি সতর্ক ছিল লালবাজার। সূত্রের খবর, বড়তলা কাণ্ডের তদন্তভার থানার হাতে থাকলেও গোয়েন্দা বিভাগের ওএসডি অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতে তা হয়েছে। এমনকী আদালতে সওয়াল-জবাবের সময় তিনি নিজে হাজির থাকতেন।
  • Link to this news (বর্তমান)