চুরি করে ধরা পড়তেই দুই দুষ্কৃতীর পুকুরে ঝাঁপ, তুলে এনে গণপ্রহার
বর্তমান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: দিন কয়েক আগে পাড়ায় ডাকাতি হওয়ায় সতর্কই ছিলেন বাসিন্দারা। এলাকায় ‘রাত পাহারা’ দিচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সুবাদে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল একদল দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই দুষ্কৃতীরা চুরি করে পালানোর চেষ্টা করছিল। বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে প্রাণে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ দেয় দুষ্কৃতীরা। তাদের ধরতে কয়েকজন ব্যক্তিও জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে টানাহেঁচড়া শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের ধরে জল থেকে তুলে নিয়ে এসে চলে গণপিটুনি। খবর দেওয়া হয় দেগঙ্গা থানায়। পুলিস গিয়ে অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার নুনেরহাটি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারি দেগঙ্গার নুনেরহাটি গ্রামের ইব্রাহিম দফাদারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ভরসন্ধ্যায় বাড়ির মহিলাদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার গয়না ও আলমারি থেকে নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এখনও ডাকাতির কিনারা করতে পারেনি পুলিস। মঙ্গলবার ফের তিনটি বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন সহ বেশ কিছু সামগ্রী চুরি করে দুই দুষ্কৃতী। এক মহিলা তা দেখতে পেয়ে চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে গ্ৰামের লোকজন। হইচই শুরু হতেই দুষ্কৃতীরা আশ্রয় নেয় একটি গোয়ালঘরে। তাদের দেখে বাড়ির কর্তা ধারালো বঁটি তুলে ধাওয়া করতেই পুকুরে ঝাঁপিয়ে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। ততক্ষণে পুকুরের চারপাশ ঘিরে ফেলেছে উত্তেজিত জনতা।
বেশ কয়েকজন ঝাঁপ দিয়ে পুকুরে নেমে পড়েন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ধরা দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর তাদের ধরে গাছে বেঁধে গণধোলাই দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দেগঙ্গা থানার পুলিস গিয়ে দু’জনকে আটক করে। স্থানীয় বাসিন্দা আলমগির দফাদার বলেন, কয়েকদিন আগেই আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে ডাকাতি হয়। আজ রাতেও ওরা এসেছিল চুরি করতে। তাড়া খেয়ে জলে ঝাঁপ দেয়। আমরাও ওদের ধরে ফেলি। পুলিস এসে দু’জনকে নিয়ে গিয়েছে। আমরা চাই অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি। মঙ্গলবার রাতে ওরা দু’টি মোবাইল ও টাকা চুরি করেছিল। জলে পড়ে যাওয়ায় তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।