সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: ছেলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। বুধবার ছিল জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা। মা মধুমিতা দলপতি দরজায় তালা দিয়ে ছেলেকে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে গেলে সেই সুযোগে ঘরে ঢুকে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে এক দুষ্কৃতী। জানা গিয়েছে, চারতলার ওই ফ্ল্যাটের দরজার তালা ভেঙে সে ঢুকেছিল। এমনকী, চুরির পর ওই বিল্ডিং থেকে বেরনোর জন্য নীচে নেমে সে দেখে, মূল ফটকে তালা দেওয়া। তখন এক আবাসিককে ডেকে গেটের তালা খুলিয়ে নির্লিপ্তভাবে চলে যায় সে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া থানার নোনা শিবতলা এলাকায়। উলুবেড়িয়া থানার পুলিস চুরির মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
এদিন সকাল ১০টা নাগাদ মধুমিতা দেবী ফ্ল্যাটের দরজায় তালা দিয়ে ছেলেকে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে যান। বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখেন, ফ্ল্যাটের দরজার তালা ভাঙা। আলমারি তছনছ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আলমারিতে থাকা সোনার গয়না ও নগদ টাকা খোয়া গিয়েছে। শুধু গয়নার দাম প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা হবে। মধুমিতা দেবীর বড় ছেলে রৌনক বলেন, ওই দুষ্কৃতী কোলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকেছিল। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, টুপি পরা ওই ব্যক্তি চুরি করার পর নীচে নেমে অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করছিল। কারণ আমাদের বিল্ডিংয়ে ঢোকার গেট তালাবন্ধ ছিল। শেষমেশ এক আবাসিককে ডেকে তালা খুলিয়ে বেরিয়ে যায় সে। বিল্ডিংয়ের সব আবাসিকের কাছেই সেই তালার চাবি থাকে। সম্ভবত কখনও গেট খোলা থাকার সুযোগ নিয়ে সে ভিতরে ঢুকে পড়েছিল।
অন্যদিকে, উলুবেড়িয়া স্টেশন রোডের একটি ফ্ল্যাটে দুষ্কৃতী হানার পর এদিন আরও একটি ফ্ল্যাটে চুরির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। একের পর এক চুরির ঘটনায় পুলিসের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান তাঁরা। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, ওই ফ্ল্যাটের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।