• পরীক্ষা কেন্দ্রে ফ্যান খুলে পড়ে ছাত্রী ‘জখম’, দায়িত্বপ্রাপ্তদের  শো-কজ
    বর্তমান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের মধ্যেই ফ্যান খুলে পড়ে ‘জখম’ হল এক পড়ুয়া। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাটানগর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে। অভিভাবকদের দাবি, নন্দিতা মাকাল নামে ওই ছাত্রীর মাথায় ও হাতে আঘাত লেগেছে। আরও এক পরীক্ষার্থীর পায়ে আঘাত লাগে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন মহেশতলা থানার আইসি তাপস বসু। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আহত নন্দিতাকে ভিতরে আলাদা ঘরে পরীক্ষার জন্য বসানো হয়। কিন্তু তার মাথায় যন্ত্রণা হওয়ায় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 


    সেখান থেকে পিজির বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজিতে পাঠানো হয়। পড়ুয়ার মাথায় সিটি স্ক্যান করা হয়। তবে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত সময় নিয়ে পরীক্ষা শেষ করে সে। 


    পর্ষদের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই পড়ুয়াকে হাসপাতালেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। তবে, ওই এলাকার জেলা পরিদর্শক দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য সহ চারজনকে শো-কজ করা হয়েছে। বাকিরা হলেন কেন্দ্রটির সেন্টার সেক্রেটারি, জেলা উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জকেও তাঁর অধীন পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই শিক্ষকদের গাফিলতির জন্য সতর্ক করা হয়েছে। পর্ষদের ওই আধিকারিক জানান, পরীক্ষা শুরুর আগে একটি চেকলিস্ট দেওয়া হয়েছিল জেলাগুলিতে। সবরকম পরিকাঠামো ঠিক আছে কি না, তা দেখে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়। জেলা প্রশাসনকেও পৃথক একটি পরিদর্শন করতে বলা হয়েছিল। তারপরও এরকম ঘটনা ঘটলে কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে।


    স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমিত ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের ফ্যান সব চেক করা হয়েছিল। প্রতিদিন দেখা হয়। এমন হবে বুঝতে পারিনি। ক্লাস রুমের সিসিটিভি দেখেছি। তাতে ফ্যানটি মেয়েটির মাথার উপর পড়েনি। তবে সে খুবই ভয় পেয়ে যায়। 


    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দিতা বাটানগর বাংলা জাতীয় শিক্ষা মন্দিরের ছাত্রী। এমন ঘটনায় অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কোথায়? কেন ফ্যানগুলি চালানোর আগে চেক করা হয়নি। 


    অন্যদিকে, এদিন ফের হাওড়া জেলার পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে মিলল মোবাইল ফোন। কাশমোলি নিগনা এসসি হাইস্কুলের এক পড়ুয়া দেউলগ্রাম মাঁকুড় বক্সি গার্লস হাইস্কুলে মোবাইল নিয়ে ধরা পড়ে। তার এ বছরের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। এর আগেও হাওড়ায় স্মার্টফোন এবং মোবাইল উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।  পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় জখম ছাত্রীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করল বনগাঁ পুরসভা। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)