• ভিজল একাধিক জেলা, মরশুমের প্রথম বৃষ্টি শুরু বৃহস্পতিবার সকালেই
    এই সময় | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • বছরের প্রথম বৃষ্টি। পূর্বাভাস ছিলই। বৃহস্পতির সকালেই একাধিক জেলায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হলো। দক্ষিণেবঙ্গে একাধিক জেলায় সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। কলকাতাতেও সাড়ে দশটা থেকে ছিটেফোঁটা শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে।

    শীত ব্যাগ গুছোতে শুরু করেছে। গত দু’দিন ধরেই ভ্যাপসা গরমের অস্বস্তি ছিল দক্ষিণের বেশ কিছু জেলায়। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড় জুড়ে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। জেলার অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ গোটা পানাগড় বাজার ঘন কালো অন্ধকার নেমে আসে। শুরু হয় বজ্র বিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টি। প্রবল বৃষ্টির জেরে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় ধীর গতিতে চলছে যানবাহন।

    পশ্চিম বর্ধমানের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের বেশ কিছু অংশেও বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় জেলার বিভিন্ন অংশে।

    হুগলি জেলার সিঙ্গুর, হরিপাল, তারকেশ্বর, পাণ্ডুয়া, চুঁচুড়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চলছে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। মেঘের গর্জন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে বেশ কিছু জায়গায়।

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাঁকুড়া জেলাতেও শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। সঙ্গে রয়েছে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। আর এই ঘটনায় চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছেন আলু চাষিরা। ঋণ নিয়ে চাষ করে উৎপাদিত ফসল ঘরে তোলার কোনও সম্ভাবনাই তাঁরা দেখছেন না।

    আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে তেলঙ্গনা পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত হয়েছে। এটি ভূপৃষ্ঠের মাত্র ৯০০ মিটার উপরে রয়েছে। ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে। গত কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। সেই কারণেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল।

  • Link to this news (এই সময়)