আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ আর খুনের মামলায় তদন্তের কতটা অগ্রগতি হয়েছে, তা আগামী সোমবারের মধ্যে সিবিআইকে জানাতে বলল শিয়ালদহ আদালত। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে এই বিষয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই আদালত সিবিআইকে ওই নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী অমর্ত্য দে।
নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী জানান, নিয়ম মোতাবেক তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জানানোর কথা ছিল সিবিআইয়ের। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থা এখনও তা জানাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্যাতিতার পরিবার।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেই মূল অভিযুক্ত বলে চার্জশিটে উল্লেখ করে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তার ভিত্তিতে চার্জ গঠনের পর চলে বিচারপ্রক্রিয়া। ৫৯ দিনের বিচারপ্রক্রিয়া শেষে গত ১৮ জানুয়ারি সঞ্জয়কেই দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। ২০ জানুয়ারি শাস্তি ঘোষণা করেন। সিবিআই আরজি কর-কাণ্ডকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ ঘটনা বলে আদালতে উল্লেখ করে সঞ্জয়ের ‘সর্বোচ্চ শাস্তি’র দাবি করেন। কিন্তু বিচারক সাজা ঘোষণার সময় জানান, সিবিআইয়ের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন তিনি। একে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ ঘটনা বলে মনে করেন না তিনি। সঞ্জয়কে যাবজ্জীবন শাস্তি শোনান বিচারক।