ট্যাংরায় আত্মহত্যা নয়, তিন জনকেই খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে, রোমি দে-এর দু’ হাতের কব্জি কাটা ছিল। গলাতেও বাঁ দিক থেকে ডান দিকে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। অর্থাৎ ধারালো অস্ত্র চালানো হয়েছে বলেই ইঙ্গিত। সুদেষ্ণা দে-এর দু’ হাতের কব্জি কাটা ছিল, কাটা ছিল হাতের শিরা। গলাতেও গভীর ক্ষতচিহ্ন। প্রবল রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে বলেই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে।
অন্য দিকে দে বাড়ির কিশোরী কন্যা প্রিয়ংবদার হাতে ও পায়ে কালশিটে দাগ রয়েছে। পেটে আধা হজম হওয়া খাবারের নমুনাও পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। ওই খাবারের রং ছিল হলদে-সাদাটে। তাতে ওষুধের গন্ধও পাওয়া গিয়েছে।
প্রিয়ংবদার মৃত্যুর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, বিষক্রিয়ার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। শেষ খাবার খাওয়ার ৩-৬ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে এবং ময়নাতদন্ত হওয়ার ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইএম বাইপাসের ধারে একটি পথদুর্ঘটনার হাত ধরে বুধবার খাস কলকাতায় একই পরিবারের তিন মহিলার মৃত্যুর খবর সামনে আসে। ট্যাংরার ২১/সি অটল সুর রোডে একটি ব্যবসায়ী পরিবারের দুই বধূ রোমি দে ও সুদেষ্ণা দে এবং রোমির মেয়ে প্রিয়ংবদার দেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়, ইএম বাইপাসে দুর্ঘটনার কবলে পড়া প্রসূন দে, প্রণয় দে-এর স্ত্রী যথাক্রমে রোমি ও সুদেষ্ণা। রোমি ও প্রসূনের মেয়ে প্রিয়ংবদা। অন্যদিকে প্রণয়ের নাবালক ছেলেও দুর্ঘটনার সময়ে বাবা, কাকার সঙ্গে গাড়িতে ছিল।
এর পর ঘটনা যত এগিয়েছে, পরতে পরতে রহস্য দানা বেঁধেছে। একই পরিবারের তিন জনের এ হেন নৃশংস পরিণতির পিছনে কী মোটিভ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মেলেনি কোনও সুইসাইড নোটও। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট ঘিরে আপাতত জোর চর্চা।