নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজে তুমুল উত্তেজনা। অধ্যক্ষের অফিস ঘরেই এবিভিপি ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ ওঠে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই (যদিও এই সময় অনলাইন ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি) শুরু হয় চাপানউতোর। অভিযোগ, ছাত্রদের এক পক্ষ অপর পক্ষের দিকে তেড়ে যায়, শুরু হয় মারামারি। কলেজ সূত্রে খবর, এক বহিরাগত ছাত্র কলেজে ঢুকে একজনকে মারধর করে। তা ঘিরেই দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে।
এর পর অধ্যক্ষের ঘরে নালিশ জানাতে যায় তারা। সেখানেই মারামারি করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এবিভিপি, একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।
কলেজ সূত্রে খবর, প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে ঝামেলা ও বহিরাগতের কলেজে ঢুকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে বুধবার। সেই অভিযোগ নিয়ে নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের অধ্যক্ষ সামু মৌলির কাছে যায় দুই পক্ষ। সেখানেই এবিভিপি ও টিএমসিপির মধ্যে বচসা, মারধর বলে অভিযোগ। কলেজের অধ্যক্ষ এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
তবে টিএমসিপি নেতা শিবসুন্দর দাস জানান, নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজে এবিভিপির কোনও সংগঠন নেই। জোর করে বহিরাগতদের নিয়ে এসে কলেজে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বহিরাগতরা কলেজে ঢুকে অশান্তি করায় পড়ুয়ারা এর প্রতিবাদ করেছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা এবিভিপি সহ সংযোজক সায়ন পণ্ডার বক্তব্য, ‘আমরা কলেজে অশান্তি চাই না। ওরাই বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। আমাদের যদি সংগঠন না থাকতো তাহলে কলেজে সরস্বতী পুজো করার অনুমতি পেলাম কী করে। কলেজ নির্বাচন না হওয়ায় ওরা ক্ষমতার জোরে অশান্তি করে চলেছে।’