৩০ এপ্রিল, অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধন হতে চলেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। উদ্বোধনের আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা। কুম্ভমেলায় পরপর দুর্ঘটনায় বহু পুণ্যার্থীর মৃত্যু ঘটেছে। জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের সময়েও বাড়তি ভিড়ের আশঙ্কা দিঘায়। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নেওয়া হচ্ছে একগুচ্ছ উদ্যোগ।
দিঘামুখী রাস্তায় যানজট এড়াতে জগন্নাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে উন্নত পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি জগন্নাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে দিঘায় নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন দু'টি স্নানের ঘাট। সেই ঘাটের নির্মাণ কাজ কোন পর্যায়ে রয়েছে সম্প্রতি তার খোঁজখবর নেন প্রশাসনিক কর্তারা।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আগত দর্শনার্থী ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে নজর রাখা হচ্ছে।’ বর্তমানে ১৫ টি সিসিটিভি রয়েছে মন্দির চত্বরে। আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে আরও কোথায় কোথায় সিসিটিভি লাগানো হবে তা নিয়ে জেলা পুলিশ, প্রশাসন, মন্দির নির্মাণকারী সংস্থা হিডকো-সহ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা পর্যালোচনা করেছেন।
মাস দু’য়েক আগে থেকে চাপ বাড়ছে হোটেল বুকিংয়েরও। হোটেল মালিকদের বক্তব্য, মাঝে দোল এবং পয়লা বৈশাখের ছুটির জন্য পর্যটকদের বুকিং তো রয়েছেই। পাশাপাশি জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের কথা মাথায় রেখেও বুকিং শুরু হয়েছে। দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে আগাম হোটেল বুকিং হচ্ছে। তবে প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই হোটেল বুকিং নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের সঙ্গে আমরা সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’