আত্মহত্যা নাকি খুন? ট্যাংরায় দুই বধূ ও কিশোরীর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বড় তথ্য সামনে
আজকাল | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: রুবির মোড়ের কাছে একটি গাড়ি দুর্ঘটনা এবং ট্যাংরায় একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু। দুই ঘটনা একসঙ্গে জুড়ে, তা জানা গিয়েছিল বুধবারই। বৃহস্পতিবার দুই বধূ, কিশোরীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে আত্মহত্যার তত্ত্ব সরে গিয়ে উঠে আসছে খুনের তত্ত্ব। সূত্রের খবর তেমনটাই। জানা গিয়েছে, নাবালিকার মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বিষক্রিয়া। সূত্রের খবর, তার বুক, উভয় পা, ঠোঁট সহ বিভিন্ন অংশে বেশ কিছু ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। হাত পা নীল হয়ে গিয়েছিল। রোমি দে’র হাতের শিরা কাটা, গলায় ক্ষত। সুদেষ্ণার মৃত্যুর কারণ হিসেবেও ক্ষতর কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবর সূত্রের। জখমের কারণে অতিরিক্ত রক্তপাতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, তিন জনের মৃত্যু হয়েছে শেষ খাবার খাওয়ার অন্তত তিন থেকে ছ ঘণ্টা পর। ময়না তদন্তের ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছে বলেও তথ্য।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বুধবার ভোর চারটে নাগাদ ইএম বাইপাসের উপর কবি সুকান্ত মেট্রো স্টেশনের পিলারে ধাক্কা মারে একটি চার চাকা গাড়ি। এক নাবালক-সহ আহত হন তিনজন। আহতদের একজনের কাছে থেকে ট্যাংরার একটি বাড়ির ঠিকানা মেলে। ওই নির্দিষ্ট ঠিকানাতে হাজির হতেই সামনে আসে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা। চারতলা 'চিত্ত ভবন'-এর তিন তলার তিনটি ঘরে পড়ে ছিল তিনটি দেহ। দু'জন মহিলা এবং একজন কিশোরী। বুধবারই জানা যায়, যে অবস্থায় তিনটি দেহ উদ্ধার হয়, তাতে মহিলাদের হাতের শিরা কাটা ছিল, কিশোরীর মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরিয়ে ছিল।
দেহ উদ্ধারের সূত্র ধরে আহত ব্যক্তিদের একজনকে জিজ্ঞাসা করতেই পুলিশ জানতে পারে, পরিবারের সকলে মিলে তাঁরা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। কারণ হিসেবে সামনে আসে আর্থিক অনটনের ঘটনা। জানা গিয়েছে, দে পরিবারের আহত তিনজনের চিকিৎসা চলছে, আইসিইউতে রয়েছে তিনজনই।