২ সিভিক ভলান্টিয়ারকে পিছমোড়া করে বেঁধে সোনার দোকানে ডাকাতি! ডোমকলে কারচুপি সিসিটিভিতেও
প্রতিদিন | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: দুজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে পিছমোড়া করে বেঁধে সোনার দোকানে ডাকাতি। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির ফরিদপুর পাকুড়দিয়ার বাজারে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে জলঙ্গির ওসি দীপক হালদারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌছে তদন্ত শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে এই খবর চাউর হতেই সোনার দোকানের সামনে ভিড় করেন স্থানীয় মানুষ। তবে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ দোকানের মালিক বিল্লাল ইসলাম। পুলিশ জানায়, দোকানের লকার অক্ষত আছে। তেমন কিছু নিতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে সোনার দোকানে ও দোকানের বাইরে , বাজারের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে সিসি ক্যামেরা। সেই সব ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি জানার চেষ্টা করছে, কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে? দোকানের সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে দুষ্কৃতীরা মুখ ঢেকে দোকানে ঢুকছে।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে পাকুড়দিয়াড় বাজারে তালা ভাঙার শব্দ শুনে বাজারের অন্যদিকে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার দুজন টর্চ জ্বালায়। সেদিকেই ছুটে যায়। কাছাকাছি আসতেই ডাকাত দলের সদস্যরা সিভিক দুজনকে পিছন থেকে ধরে ফেলে ও পাশের একটি ঘেরা জায়গায় নিয়ে গিয়ে পিছমোড়া করে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে। সেই সঙ্গে বাঁশের লাঠি দিয়ে আশেপাশের সিসি ক্যামেরাগুলিও ঘুরিয়ে দেয় তারা। এমনকি কিছু ক্যামেরায় কালো পলিথিন জড়িয়ে দেয়। তার পর সোনার দোকানের শাটার ভেঙে ভিতরে ঢোকে।
জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সোনার দোকানে ঢুকলেও লকার ভাঙতে বা খুলতে না পারায় বড় ধরণের কিছু ঘটেনি। তবে দোকানের বিভিন্ন শোকেস থেকে কিছু নিয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে ওই ঘটনায় দোকান মালিক বিল্লাল ইসলাম মিডিয়ার সামনে মুখ খোলেননি। এমনকি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দিয়েছেন। ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
পাকুরদিয়াড় বাজার কমিটির সম্পাদক নওসাদুল মোল্লা জানান, “ভোররাতের দিকে খবর পেয়ে এসে দেখি তখনও সিভিক দুজনকে পিছমোড়া করে বাঁধা আছে। ওই অবস্থায় ওরাই থানায় খবর দিয়েছিল। তার পর পুলিশ তদন্ত করছে।” তিনি জানান, “নিয়মিতভাবে না থাকলেও মাঝেমধ্যে এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়ার থাকে। ভাগ্যিস আজ ছিল। নইলে বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে পারত।” তবে লকার ভাঙতে বা না খুলতে পারলেও সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা কিন্তু বেশ বড়সড় বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের তরফে স্থানীয় বাসীন্দা ফরিদপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য আবদুল কুদ্দুস জানান, “লকার ভাঙতে পারেনি সেটা অন্য ব্যাপার। কিন্তু দুজন সিভিককে মারধর করে বেঁধে রেখে সোনার দোকানে ঢোকার যে ঘটনা তা সামান্য ব্যাপার নয়। আমরা চাইব যতরকম সূত্র আছে সব ব্যবহার করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নইলে দুষ্কৃতীদের সাহস বেড়ে যাবে।”