ট্যাংরার বাড়িতে তিনজনকেই 'খুন', ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আর কী আছে?
হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ট্যাংরায় তিনজনকে খুন নাকি আত্মহত্যা এনিয়ে প্রথম থেকে নানা জল্পনা ছড়াচ্ছিল। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে ট্যাংরার বাড়িতে তিনজনকে খুন করা হয়েছে। অর্থাৎ দুজন মহিলা ও এক কিশোরীকে খুন করা হয়েছে। তিনটি ঘরেই রক্তের দাগ। বেসিনে রক্তের দাগ। ঘরের একটা ঘরে কিছু জামাকাপড় রয়েছে। সেখানেও রক্তের দাগ ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে খুন করার পরে জামাকাপড় ছেড়ে বেরিয়েছিল অভিযুক্তরা।
একাধিক সংবাদমাধ্য়মের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ট্যাংরায় বাড়ির দুই বধূকে খুন করা হয়েছে। তবে অপর যে কিশোরীকে মৃত অবস্থায় মিলেছে তার বিষক্রিয়ার মৃত্য়ু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে যে রিপোর্ট তাতে জানা গিয়েছে, হাতের শিরা কাটা ও গলার নলি কাটা হয়েছিল দুই মহিলাকে। একজনের একটি হাতের শিরা কাটা হয়েছিল। অপর মহিলার দুই হাতের শিরা কাটা হয়েছিল। দুজন মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আর কিশোরীর মৃত্যুর কারণ অনুসারে যেটা প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল তার। খাওয়ার তিন থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর ঘটনা। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পোস্ট মর্টেম চলে। এনআরএসে হয় এই পোস্ট মর্টেম।
রিপোর্টে রয়েছে ..
এক বধূর কবজিতে কাটা হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণে মৃত্যু।
কিশোরীর শরীরে কালশিটে দাগ ছিল। বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে। তার পাকস্থলিতে হলুদ রঙের কিছু তরল মিলেছে। মেডিসিনের মতো গন্ধ।
অপর বধূরও কবজি কাটা হয়েছিল। গলার কিছুটা কাটা ছিল। দুই বধূর ক্ষেত্রে তারা যখন বেঁচে ছিলেন তখনই এই কবজি ও গলা কাটা হয়েছিল।
অর্থাৎ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে তিনজনকেই খুন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনটাই সূত্রের খবর। সেই সঙ্গেই জানা গিয়েছে, ওই দুই মহিলার শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয় তাঁদের।
এদিকে ওই বাড়ির বড় ছেলে অবশ্য় দাবি করেছিলেন যে বাড়িতে যে তিনজন রয়েছেন তারা আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অবশ্য় অন্য কথা বলেছে। পাশাপাশি পুলিশ কমিশনারও আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে যে বয়ান ওই পরিবারের জখম সদস্যরা দিচ্ছেন সেটা যাচাই করে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত ট্যাংরার বাড়ি থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। একই বাড়ির দুই বধূ ও এক কিশোরী কন্যার দেহ উদ্ধার হয়েছিল ওই বাড়িতে। আবার ওই পরিবারের দুই ভাই ও একজনের নাবালক সন্তানকে বাইপাস থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। তাদের গাড়িটি বাইপাসের ধারের পিলারে ধাক্কা দিয়েছিল। সেখানেই আহত হয়েছিলেন তারা।
কবি সুকান্ত মেট্রো স্টেশনের কাছে তাদের গাড়িটি ধাক্কা দিয়েছিল। সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তিনজনকে। আহত প্রণয় দে, প্রসূন দে ও তাদের ১৫ বছর বয়সি ছেলেকে ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে।
অর্থাৎ বাড়িতে তিনজনের দেহ। আর পরিবারের বাকি সদস্যদের উদ্ধার করা হয়েছিল আহত অবস্থায় বাইপাস থেকে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের। এবার প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বাড়িতে যে তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল তাদেরকে খুনই করা হয়েছে।