• সোমবারও স্কুলে গিয়েছিল, মঙ্গলবার নাক - মুখ চেপে খুন করা হয় কিশোরী প্রিয়ম্বদাকে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ট্যাংরায় একই পরিবারের ৩ নারী সদস্যের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। তবে তার মধ্যেই বিভিন্ন সূত্র থেকে এসে পৌঁছচ্ছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, দে পরিবারের কণিষ্ঠতম সদস্য প্রিয়ম্বদা দেকে সম্ভবত খুন করা হয়েছে। আর তার আগে সোমবারও স্কুলে গিয়েছিল প্রিয়ম্বদা। সেদিন পরীক্ষা ছিল তার। শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, সোমবারও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক মনে হয়েছিল প্রিয়ম্বদাকে।

    কলকাতার একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী ছিল প্রিয়ম্বদা। দে পরিবারের ছোট ছেলে প্রসূন দের একমাত্র কন্যা সে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার স্কুলে পদার্থবিদ্যা পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিতে স্কুলে গিয়েছিল প্রিয়ম্বদা। শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন। সেদিন স্কুলে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি প্রিয়ম্বদার মধ্যে। পরীক্ষা দিয়ে নির্দিষ্ট পরিবহনে বাড়ি ফিরে যায় সে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবারও পরীক্ষা ছিল প্রিয়ম্বদার। কিন্তু সেদিন পরীক্ষা দিতে স্কুলে যায়নি সে। সেজন্য তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় স্কুলের তরফে। প্রিয়ম্বদার মা রোমি দেকে ফোন করেন শ্রেণি শিক্ষিকা। কিন্তু কেউ ফোন ধরেননি বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে। এক ছাত্রীর নির্মম পরিণতিতে শোকাহত শিক্ষিকা ও সহপাঠীরাও।

    ওদিকে আরজি কর হাসপাতালে চলছে ১৪ বছরের প্রিয়ম্বদার দেহের ময়নাতদন্ত। প্রাথমিক খবর অনুসারে সম্ভবত বালিশ জাতীয় কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে কিশোরীকে। সূত্রের খবর, প্রিয়ম্বদার নাক থেকে এক রকম তরল বেরোতে দেখা গিয়েছে। যা থেকে চিকিৎসকদের অনুমান একসঙ্গে নাক মুখ চেপে ধরে খুন করা হয়েছে তাঁকে। আরও জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ট্যাংরা থানার আধিকারিকরা বাড়িতে পৌঁছনোর অন্তত ৫ - ৬ ঘণ্টা আগে খুন করা হয়েছিল প্রিয়ম্বদাকে। কারণ তাঁর নাক থেকে বেরনো তরল ততক্ষণে শুকিয়ে গিয়েছিল।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)